টাঙ্গন ডেস্ক:ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে বিরাজমান ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে ঐতিহাসিক জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা কিছু রাজনৈতিক দলের নির্বাচনকাল, পিআর ও রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে চূর্ণ হতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
আজ (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে মুসলিম লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নেতারা বলেন, এই বিভক্তির সুযোগে ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে ভারত-সমর্থিত দোসররা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তারা বলেন, শেখ হাসিনার পতনের একবছর পরও ভারতের ব্রাহ্মণ্যবাদী আধিপত্যবাদী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি, যা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ নয়, ভারতের আধিপত্যই বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি।
নেতারা অভিযোগ করেন, ভারত মুসলিম লীগের ভারতবিরোধী অবস্থান নস্যাৎ করতেই ১৯৭৩ সালে কারাগারে ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার সন্তান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও প্রহসনমূলক বিচারে হত্যা করে। তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে জাতীয় স্থাপনাগুলোর নামকরণসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুসলিম লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ। বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, এফডিএ চেয়ারম্যান ড. এ আর খান, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আকবর হোসেন পাঠান, প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কাজী এ.এ কাফী, ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মাসুদ রানা, মো. আলী জিন্নাহ, ক্যাপ্টেন আনিস, মোজাক্কের বারী, শফিকুল ইসলাম জাবেদসহ আরও অনেকে।
নেতারা অবিলম্বে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো যদি বিভক্ত থাকে, তবে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই অবিলম্বে নির্বাচনী সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে তুলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তারা।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/