নিউজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরে গালফ অঞ্চলে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি নিশ্চিত করেছেন। আবুধাবি, রিয়াদ ও দোহা সফরে তিনি অস্ত্র, এভিয়েশন এবং প্রযুক্তি খাতে বিশাল অঙ্কের চুক্তি সম্পাদন করেন।
আবুধাবিতে যুবরাজ খালেদ বিন মোহাম্মদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “আমি আমার দেশের জন্য একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি।” ইউএই আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ সফরে বোয়িংয়ের সঙ্গে কাতার এয়ারওয়েজের ২০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি হয়, যার মধ্যে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি রয়েছে। হোয়াইট হাউজ এটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্রচুক্তি বলে জানিয়েছে।
ট্রাম্প কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে ইউএই-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্বের ঘোষণা দেন এবং মার্কিন প্রযুক্তির ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ট্রাম্প ২৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ইরান ইস্যুতে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান, সামরিক সংঘাত এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
তবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্প স্বীকার করেন, “গাজার অনেক মানুষ অনাহারে আছে” এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
সফরকালে কাতার থেকে বিলাসবহুল বিমান উপহার পাওয়া নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে, যাকে ডেমোক্র্যাটরা ‘দুর্নীতির উদাহরণ’ হিসেবে দেখছেন।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/