ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বহুল আলোচিত ঘটনা অনলাইন প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর পলিটেকনিক শিক্ষার্থী মিলন হত্যা মামলায় সিজানের মা শিউলি বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
পরে আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে সিজানের মা শিউলি বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২০) গ্রেফতারকৃতদের ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ বিচারক রাজীব কুমার রায় তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ে অপহরণের ২৫ দিন পর কলেজ ছাত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার-৩
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সেজান আলী (২৫), তার মা শিউলি বেগম (৫৫), একই উপজেলার আরাজি পাইকপাড়া গ্রামের মুরাদ ওরফে নাসিম (২৫) ও সেজানের ভাগ্নি ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের তেলিপাড়া মহল্লার রতœা আক্তার ইভা (১৯)। তবে এর মধ্যে সেজানের মা শিউলি বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ‘শেষ বিকেলের গল্প’ নামে একটি ভুয়া নারী ফেসবুক আইডি খুলে মিলনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলত হত্যাকারীরা। একপর্যায়ে মিলনের সঙ্গে ওই নারীর দেখা করার তারিখ নির্ধারণ হয়। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে লিচুবাগানের ভেতরে প্রেমিকার (ইভা) সঙ্গে দেখা করতে যান মিলন। এ সময় পেছন দিক থেকে সেজান আলী ও মুরাদ তাকে ঝাপটে ধরে। পরে মিলন চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা।
এরপর মিলনের লাশ সেজানের বাড়িতে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকে ফেলে মাটি চাপা দেয়। পরে অপরাধীরা মিলনের পরিবারের কাছে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপনও আদায় করে। গত ৫ মার্চ নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মিলনের বাবা পাঞ্জাব আলী। এর পর গত ১৯ মার্চ অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দয়ের করে মিলনের পিতা পাঞ্জাব আলী।
মামলাটি তাৎক্ষনিকভাবে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবশেষে ২০ মার্চ ভোরে সেজানের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/