ডেস্ক নিউজ : প্রাণী সম্পদের তদারকি ছাড়াই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধ ভাবে অসুস্থ্য ছাগি ছাগলের মাংস খাসি হিসেবে বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি চক্রের বিরুদ্ধে। আর এর সাথে যুক্ত আছেন মাদ্রাসার শিক্ষকসহ কতিপয় অসাধু মাংস ব্যবসায়ী। সদকায়ে জারিয়া (দান) এ সব ছাগলের মাংস যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন নাম করা হোটেল ও রেষ্টুরেন্টে।
সরোজমিনে দেখা গেছে, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ীহাটে মাংসের বাজারে রাখা আছে ছাগলের স্তুপ। সেগুলো মরা কি না জীবিত, সুস্থ না অসুস্থ। নেই কোন বুঝার উপায়। কোথাও আবার টানাটানি করছে কুকুর। লাহিড়ী হাটের পাশে একটি এতিমখানায় সদকায়ে জারিয়ার (দান) ছাগল জবাই করছে শিক্ষার্থীরা। দুপুরের খাওয়া খাচ্ছেন শুকনো ভাত। অপরদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর মাদ্রাসার সামনে রাস্তার পাশে চোখে পড়ে মাংস বাজারজাত করণের আরেক দৃশ্য।
শুকনো ভাত খাওয়ার ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি জানান শিক্ষার্থীরা জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিল এবং খাওয়া শেষের দিকে তাই এমন অবস্থা। ছাগল দান করতে আসা ব্যক্তিরা জানান বিক্রী করার জন্য দেওয়া হয় না। বাচ্চাদের রান্না করে খাওয়ার জন্য জবাই করে দেওয়া হয়। লাহিড়ীহাট মহিউচ্ছুন্নাহ এতিমখানার শিক্ষক অনিয়মের কথা শিকার করে জানান আগে কোন সিষ্টেম ছিল না, দূর্নীতি করেছে। এভাবে তো সদকা সহি হয় না, বেইমানি করা হচ্ছে। চার শুক্রবার থেকে ছাত্র সমন্বয়ক ভাইদের হস্তক্ষেপে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অসুস্থ এবং মাদ্রাসার সদকায়ে জারিয়া (দান) ছাগলের মাংস বাজারজাত করণের বিষয়টি অকোপটে শিকার করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা জানান অসুস্থ করিনা, তবে মনে করেন যে, ছোট ছোট বাচ্চা। দুই চারটা হাট থেকে এনে বাকী গুলো মাদ্রাসা থেকে আনা হয়। এক ব্যবসায়ী জানান প্রথমে দিনাজপুরের রাণীরবন্দরে, সেখানে প্যাকেট হয়, তারপরে কোথায় যায় তা তিনি জানেন না।
স্থানীয়রা জানায় মাংস ব্যবসায়ীরা সদকায়ে জারিয়ার জবাইকরা করা ছাগল অল্পদানে ক্রয় করে বেশী দামে বিক্রয় করে। এতে এক ধরনের মুনাফাখোর মাংস ব্যবসায়ী এই মাংস ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর ও ঢাকার নাম করা বিভিন্ন হোটেল ও রেষ্টুরেন্টে বাজারজাত করা হয়ে থাকে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আশীষ কুমার সাহা জানালেন এটা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নয়, এই দায়িত্ব প্রাণী সম্পদের। প্রাণী সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: রেজওয়ানুর হক জানান যদি কোন অসাধু ব্যক্তি এ ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইরশাত ফারজানা জানান মাংস গুলো স্বাস্থ্য সম্মত কি না সেটা পরীক্ষা করা প্রাণী সম্পদের দায়িত্ব। যদি এটা কোন প্রতিষ্ঠানে হয় বা কারো বাড়ির ভেতরে হয় তাহলে সেটার কিছু করণীয় থাকবে না ।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/