• বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পবিত্র হজ পালনে মক্কায় লাখো মুসলমান, আজ মিনায় অবস্থান, কাল আরাফাতের ময়দানে মূল কার্যক্রম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিসেম্বরে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে: উপদেষ্টা আসিফ বাঘায় ঈদ উপহার পেল ১৪ হাজারের বেশি অসহায় পরিবার ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত দলিল লেখক পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ পার্বতীপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অধ্যাপক মাহমুদাবাদকে ঘিরে ঘৃণার রাজনীতি: মতপ্রকাশের অধিকার কি প্রশ্নের মুখে? ৫৯টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু, সব মিশনে ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার, স্থিতিশীল বিনিময় হারে গুরুত্ব আরোপ অর্থ উপদেষ্টার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব: মানুষকেন্দ্রিক উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার ঠাকুরগাঁওয়ে দোয়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন

দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে বাড়িতে আসলো চঞ্চল 

Reporter Name / ১১৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:সব স্বপ্ন শেষ করে করে , দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে বাড়ীতে আসলেন চঞ্চল। স্বজনদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০ দিন পর দেশে ফিরলেন শাহ আলম চঞ্চল—তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে। মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত এই প্রবাসীর স্বপ্ন ছিল ধার-দেনা শোধ করে ঘর বাঁধার। কিন্তু সব স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই বিদায় নিতে হলো তাঁকে।
নিহত শাহ আলম চঞ্চল (২৫) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের জফির উদ্দীন মৃধার ছেলে। গত (৩০ এপ্রিল ২০২৫) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় এক্সকাভেটর (ভেকু) মেশিনের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে তিনি প্রাণ হারান।
২০ দিন পর, বুধবার (২১ মে ২০২৫) সকালে নিজ গ্রামে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় প্রবাসী চঞ্চলকে। শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। মা-বাবা বাকরুদ্ধ, ছোট বোন সুমি খাতুন বুক চাপড়ে কাঁদছিলেন।
দুই বছর আগে চঞ্চল নতুন স্বপ্ন নিয়ে ধার-দেনা করে শ্রমিকের ভিসায় মালয়েশিয়া যান। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে এক্সকাভেটর মেশিন চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। সবে মাত্র ধার-দেনা পরিশোধ শেষ করে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই এক্সকাভেটর মেশিনই কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ, ভেঙে দেয় পুরো পরিবারের স্বপ্ন।
নিহতের পিতা জফির উদ্দীন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “কোরবানির ঈদের পর ছুটিতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল ছেলের। মৃত্যুর আগের রাতেও আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ায় যে কোম্পানিতে চঞ্চল কাজ করতেন, তারা মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর খরচ বহন করেছে। তবে ঢাকা থেকে বাড়ি আনতে তাদের নিজ খরচে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
মা সাথী বেগম বলেন, “ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ঘরে আনব, বউ রান্না করে আমাদের খাওয়াবে—এটাই ছিল স্বপ্ন। ভাবতেও পারিনি, ছেলে লাশ হয়ে ঘরে ফিরবে।”
সোহেল /টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com