নিউজ ডেস্ক:হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হয়েছেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
বুধবার (৪ এপ্রিল) মুসলমানরা ইহরাম বেঁধে মিনায় অবস্থান করছেন, যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ধাপে ধাপে মিনায় যাত্রা শুরু করেন হাজিরা। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হজের মূল কার্যক্রম।
হজের নিয়ম অনুযায়ী, ৭ জিলহজ সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরের মিনা অভিমুখে যাত্রা করেন হজযাত্রীরা। তাদের পরনে থাকে সেলাইবিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড়, যা হজের ইহরামের প্রতীক। আজ জোহরের নামাজের আগেই হাজিরা মিনায় পৌঁছান, সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন করা সুন্নত হিসেবে পালন করছেন।
মিনায় অবস্থানরত হজযাত্রীরা সারাদিন তালবিয়া, জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। প্রতিটি হাজির জন্য আলাদা তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ইবাদত করতে পারেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৯ জিলহজ, হজের মূল কর্মসূচি পালিত হবে। ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরের আরাফাতের ময়দানে যাবেন। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে তারা নামাজ, খুতবা, জিকির ও দোয়ায় মগ্ন থাকবেন। এই আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাকে বলা হয় হজের ‘রুকন আযম’ বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হজ পালনে গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন যাত্রী। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের মোট ২২৪টি ফ্লাইটে তাঁরা সৌদি আরব পৌঁছান। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১০ জুন থেকে এবং চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/