টাঙ্গন ডেস্ক:বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে।
১০ জুন থেকে ১৩ জুন লন্ডন সফর শেষে আজ (১৬ জুন) তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা করছে সরকার। তারা আমাদের নথিপত্র প্রস্তুতে সহায়তা করছে।”
গভর্নর জানান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের কাছে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাচারকারীদের সম্পদ এবং লুট করা অর্থের তথ্য হস্তান্তর করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিদেশি কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদও জব্দ করা হয়েছে।
ড. মনসুর আরও জানান, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা করছে এবং এই উদ্যোগ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য অংকের অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ায় দক্ষ সংস্থাগুলো ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী। এসব সংস্থা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মামলার আইনি ব্যয় বহন করে এবং সফল হলে উদ্ধারকৃত অর্থের একটি অংশ পায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “আমরা একটি ফান্ড গঠনের কথা বিবেচনা করছি এবং বৈশ্বিক আইন সংস্থাগুলো থেকেও অর্থ সংগ্রহ করবো।” তিনি আরও যোগ করেন, “উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে, তবে এই হার নির্ভর করবে মোট কত অর্থ উদ্ধার হয় তার ওপর।”
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/