হিলি(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলিতে প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষায় কাদামাটি এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালির কারণে নাকাল হিলিবাসী। মাঝে মাঝে ইট বিছিয়ে চলাচলের ব্যবস্থার চেষ্টা করা হলেও সেগুলো গর্ত হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালে যাওয়ার পথেও এসব গর্ত বিশাল সমস্যা তৈরি করছে।

হিলি জিরোপয়েন্ট থেকে স্থলবন্দর গেট পর্যন্ত ফোর লেনের কাজ শেষ হলেও হিলি চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত অংশে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ এটি হিলি থেকে জয়পুরহাট হয়ে ঢাকায় যাওয়ার একমাত্র সড়ক। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ মাঝে মাঝে সংস্কারের চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এতে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। কাদা থেকে সাময়িক মুক্তি মিললেও ধুলার যন্ত্রণায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ।

পথচারী, অটোচালক এবং ট্রাকচালকদের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের গাড়ি চালাতে হয় অনেক কষ্টে, প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার কোনো সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়নি, কোনো সরকারই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী কামাল জানান, সরকার হিলি বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও প্রধান সড়কটির উন্নয়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। একাধিকবার বৈঠক হলেও কাজ এগোয়নি, এ নিয়ে তার মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় জানান, হিলির ফোর লেন প্রকল্পের একটি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। তবে হিলি চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত অংশের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। এই সমস্যা সমাধান হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন বুধবার হিলির একটি ভাঙা রাস্তায় দুর্ঘটনায় পড়ে ১০ বছরের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়। সে দিন ভ্যানে চড়েছিল, ভাঙা রাস্তায় ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয় মেয়েটি। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সোহেল/টাঙ্গন টাইমস