টাঙ্গন ডেস্ক:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ভোটের ৫৫ থেকে ৬০ দিন আগেই ঘোষণা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ জানানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল সাধারণত ভোটের দুই মাস আগে ঘোষণা করা হয়। ৫৫ দিন, ৬০ দিন আগে হয়। নির্বাচন করতে আমরা প্রস্তুত।”
তিনি জানান, তফশিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা প্রস্তুত থাকা জরুরি। চলতি জুন মাসের মধ্যেই হালনাগাদ কাজ শেষ হবে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনে ভোটার রেজিস্ট্রেশন আইনে পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা চলছে। যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন শেষ হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের মতো বড় একটি কাজও সামনে রয়েছে।
সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে সিইসি বলেন, “আমাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলার দরকার আছে। এতদিন এ বিষয়ে সরকারই আলোচনা করেছে। উনাদের অবস্থান বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ধারণা পেলে সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “ভোটার রেজিস্ট্রেশনই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। এই কাজটা মোটামুটি শেষ। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার দিনই ভোটার তালিকা প্রস্তুত থাকতে হবে, এটি আইনি বাধ্যবাধকতা।”
সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন যতই স্বাধীন হোক, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারপ্রধান নিজেই বলেছেন, ‘আমি একটা সুন্দর নির্বাচন দিবো’। তার মানে তিনি দায়-দায়িত্ব নিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হচ্ছে। সরকার একদিকে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে, সংস্কার নিয়েও আলোচনা চলছে। বিচারিক বিষয় বিচারকদের উপর নির্ভর করলেও, প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকেই কোনো একটি তারিখ আসবে। তবে লন্ডন সফরের পর কিছু দায়িত্ব আমাদের কাঁধেও এসেছে।”
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/