ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের শাপলা পিয়ালা গ্রামে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট, অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত  এবং একটি মোটরসাইকেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

ডিবি সূত্র জানায়, গত ২৮ মে ২০২৫ তারিখে ঠাকুরগাঁও ডিবি অফিসের জিডি নম্বর ১৪০ অনুযায়ী এসআই (নিরস্ত্র) সাধন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক মো. মামুন অর রশিদসহ সঙ্গীয় কর্মকর্তাবৃন্দ — এএসআই মো. নজরুল ইসলাম, এএসআই মো. খাইরুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মসিউর রহমান, বাবলু সরকার, মিন্টু মিয়া ও সুজন চন্দ্র রায় — অভিযানটি পরিচালনা করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে শাপলা পিয়ালা গ্রামের কচুবাড়ি বোর্ড অফিস সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় দুই যুবক একটি লাল রঙের হিরো ডিলাক্স ১০০ সিসি পুরাতন মোটরসাইকেলসহ অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে একজন ইয়াবা সেবনকারী ও অন্যজন অনলাইন ক্যাসিনোতে জড়িত বলে তথ্য ছিল।

ডিবি টিম তাৎক্ষণিকভাবে রিকুইজিশনকৃত মাইক্রোবাসযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শাপলা পিয়ালা গ্রামের বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের ছেলে সারোয়ার রহমান রাতুল (২২) এবং উত্তর বোচাপুকুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে তানিম ইসলাম (২২)।

তল্লাশিতে তানিম ইসলামের কাছ থেকে ২ পিস ইয়াবা, ২টি ফয়েল পেপার ও দুইটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় । অপরদিকে, সারোয়ার রহমান রাতুলের প্যান্টের পকেট থেকে দুইটি মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে সারোয়ার রহমান রাতুলের মোবাইল পর্যালোচনায় অনলাইন জুয়া খেলার অ্যাপ, মেসেজ এবং লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। সে নিজেই অনলাইন ক্যাসিনো গেমে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি সারোয়ার রহমান রাতুলের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ২০/২৩/২৪/২৭ ধারায় পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে।

ডিবি পুলিশের র্পরিদর্শক মামুন অর রশীদ জানান, উদ্ধারকৃত মাদকের উৎস শনাক্তে তদন্ত চলমান রয়েছে। আটকের সময় ইয়াবা এবং ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে। আসামীদের গ্রেফতার দেখিয়ে হাজতে পাঠানো হয়েছে।