ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখলের ঘটনার একদিন না যেতেই চমকপ্রদ ইউটার্ন নিয়েছে পুরো পরিস্থিতি। ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে পরিচিত একটি যুব সংগঠন নিজেদের দখলের দায় স্বীকার করে একযোগে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের টিএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতা রায়হান চৌধুরী অপু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল জেলার যুবসমাজের জন্য একটি আধুনিক জিমন্যাসিয়াম নির্মাণ। ভুলবশত আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে আমরা যেটা করেছি, সেটি অনুচিত হয়েছে। আমরা দুঃখিত এবং এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”
এর আগের দিন (১৪ মে) দুপুরে রায়হান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জনের একটি দল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানার টানিয়ে কার্যত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ঘটনাটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা।
রায়হানের বক্তব্যের কিছু সময় পরেই দখল করা অফিসের সামনেই আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্য রুবেল হোসেন, হাফিজুল ইসলাম ও দুলাল হোসেন। তারাও একই সুরে বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করিনি। একটি জিমের স্বপ্ন থেকেই এমন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা কখনোই দখলবাজিতে জড়াইনি, ভবিষ্যতেও জড়াবো না।”
তারা অফিসটির দখল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথাও জানান।
একদিনের ব্যবধানে সংঘটিত দখল এবং তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও তীব্র সমালোচনা। স্থানীয়দের একাংশ বিষয়টিকে দেখছেন পূর্বপরিকল্পিত নাটক হিসেবে, অন্যদিকে কেউ কেউ মানবিক ভুল হিসেবে নিচ্ছেন ঘটনাটি।
সংগঠনের বক্তব্যে দুঃখপ্রকাশ থাকলেও পুরো ঘটনার উদ্দেশ্য এবং আচমকা ইউটার্ন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/