ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:“যে সরকারের দায়িত্বে থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়, সেই সরকার কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে পারে?” — এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন।
শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভোলারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভোট কেন্দ্র কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
এক জনসভায় তিনি বলেন, “সরকারি অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রশাসনের সহায়তায় ওই দল একচেটিয়াভাবে সব সুবিধা ভোগ করছে এবং দুর্বল নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সরকারের সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। তবেই জাতীয় নির্বাচন তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। নতুবা জনগণ কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করতে পারে না।”
দেলাওয়ার হোসেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমরা নির্বাচিত হলে ঠাকুরগাঁওয়ে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করব ইনশাআল্লাহ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও জনবল নেই, আমরা সেগুলোর আধুনিকায়ন করব।”
তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন, ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো বেকার যুবক থাকবে না। তাদের প্রশিক্ষণ, বিনা সুদের পুঁজি ও উদ্যোগ দিয়ে স্বাবলম্বী করা হবে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, এজন্য শিল্প কারখানা স্থাপন করব, যাতে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং কৃষকরাও উপকৃত হয়।”
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও জেলায় মেডিকেল কলেজ, কৃষি কলেজ কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
সকল ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ইনসাফ ও সাম্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করতে চায়। আমরা ক্ষমতায় গেলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই সমান অধিকার পাবে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও নির্যাতন করেছে, আমরা তা বন্ধ করব।”
অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ, রুহিয়া থানা জামায়াতের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস