নিউজ ডেস্ক:জবি শিক্ষার্থীদের কাকরাইলে গণঅনশন শুরু, চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৪টার দিকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে যমুনার সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কাছেই অন্তত ৮০ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন।
কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরব না। এই মুহূর্ত থেকে আমাদের গণঅনশন শুরু হলো।”
এর আগে বিকেল ৩টায় সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকেও একই ঘোষণা দেন জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন। তিনি বলেন, “আমাদের পেছনে ফেরার জায়গা নেই। বিজয় ছাড়া আমরা ফিরছি না।”
শুক্রবার ছিল আন্দোলনের তৃতীয় দিন। দুপুরে জুমার নামাজের পর প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে কাকরাইল মোড় থেকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখী সড়ক।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের যৌক্তিক দাবি মানতে সরকারের এই অনীহা অগ্রহণযোগ্য। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার মেনে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ৫০টির বেশি বাসে করে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন। সাবেক শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন বিভাগীয় অ্যালামনাই ও স্বতন্ত্রভাবে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারীদের জন্য সাবেক জবিয়ানদের পক্ষ থেকে পানি, কেক, কলা ও নাস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে (শাটডাউন)। শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে ইউজিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা শুরু করলে গুলিস্তান ও মৎস্য ভবনে পুলিশ বাধা দেয়। কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছুড়ে দেয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি: ১. ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করা।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট ছাড়া অনুমোদন।
৩. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন।
৪. শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/