পার্বতীপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও দুই পক্ষের রশি টানাটানিতে উত্তোলন বন্ধ থাকায় খনি থেকে প্রতিদিন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চার দিনে যে খতির পরিমান প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। বুধবার (২জুলাই) থেকে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেড কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) ও জার্মানিয়া কর্পোরেটেড লিঃ (জিসিএল) এক নোটিশে অনিদৃষ্ট কালের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এর আগে খনি কর্তৃপক্ষ ৪ শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় খনিতে। শ্রমিকদের অযৌক্তিক কিছু দাবী ও শ্রম আইন বহির্ভুত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ শ্রমিককে অব্যাহতি দিলে শ্রমিকরা মানবন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাতে থাকে খনি এলাকায়। ফলে কর্মরত শ্রমিক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্থিরতা ও বিশৃংখলা দেখা দেয়। এতে খনিতে কর্মরত বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতির আশংকায় জিটিসি কতৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। জানা গেছে, প্রতিদিন ৩ সিফটে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন পাথর উত্তোলন হয় খনিতে। এতে সরকারের একদিনে রাজস্ব আয় হয় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এক টন পাথর উত্তোলন হলে সরকার পায় ৩০ ডলার। প্রতিদিন ৩ সিফ্টে যে পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয় তাতে সরকারের রাজস্ব জমা হয় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পুরোটাই গচ্ছা যাচ্ছে সরকারের। পাশাপাশি খতিগ্রস্থ হচ্ছে অব্যাহতি পাওয়া ৪ জন শ্রমিকের বাহিরে শতশত নিরপরাধ শ্রমিকরা। সুত্র জানিয়েছে, নিরাপরাধ শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধা প্রদান করছে আন্দোলনের নামে কতিপয় শ্রমিক। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে শ্রম আইন মেনেই ৪ শ্রমিককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জোবায়েদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, খনি থেকে পাথর উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যান্য কাজকর্ম চলমান আছে। দ্রুতই সৃষ্ট পরিস্থিতি সমাধান করা হবে।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস