• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আ’লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন নিয়ে উপদেষ্টার বক্তব্য ঠাকুরগাঁওয়ে ফিল্মি কায়দায় আসামী ছিনতাই: পুলিশের উপর হামলা! অবৈধভাবে ভারত থেকে দেশে আসার সময় ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে আটক-১০ ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা রহুল আমিন স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বিরামপুরে গাড়ি চাপায় এক কিশোরের মৃত্যু পার্বতীপুরে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরন ঘোড়াঘাটে পানির দরে আলু বিক্রি,পথে বসেছে আলু চাষীরা! ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় ঘোড়াঘাটে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে অসুস্থ্য ছাগলের মাংস খাসি হিসেবে বাজারজাতের অভিযোগ

নির্দয় ইউএনও-এসিল্যান্ডের শাস্তি চাই, প্রত্যাহার নয়

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন / ১১০৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
সংবাদকর্মী শফিউজ্জামান রানা ( বায়ে) শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন ( ডানে)। ছবি- ইন্টারনেট।

সম্প্রতি শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করায় সংবাদকর্মী শফিউজ্জামান রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফ। শুধু জেল দিয়েই ক্ষান্ত হননি তাঁর কিশোর ছেলেকে ডেকে এনে রীতিমতো শাসিয়েছেন। এটা সেবকের বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর চেহারা নয়, নির্দয় শাসকের কুৎসিত চেহারা। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সেবকের চেয়ারকে কলঙ্কিত করে সামন্ত শ্রেণির রানীমার নির্দয় আসনে পরিণত করেছেন। যদিও রানা জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

রানা তথ্য অধিকারে তথ্য চেয়েছেন, তথ্য দেয়া না দেয়া আপনার ব্যাপার তাই বলে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার উগ্র বাসনায় সাময়িক চেয়ারের ক্ষমতার মিথ্যা দম্ভে সহকারী কমিশনার মো. শিহাবুল আরিফকে ডেকে নিয়ে এই বর্বরতা ঘটানোর কোন কারন ছিলো না। গোটা প্রশাসনযন্ত্রে একদল গণবিরোধী ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক বেপরোয়া কর্মকর্তার আবির্ভাব ঘটেছে। জেলায় গেলে এরা নিজেদের সেখানকার মানুষের সেবক মনে করে না। সামন্ত যুগের জমিদার মনে করে। সেই জেলার মানুষকে তাদের প্রজা আর সমস্ত সম্পদকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফকে এখনো কেন প্রত্যাহার করে জবাবদীহিতার আওয়াতায় আনা হয়নি তা জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। দেশে আমলাদের জন্য এক আইন আর জনগণের জন্য আরেক আইন ও বিধিব্যবস্থা স্বাধীন দেশে চলতে পারে না। এ ঔদ্ধত্য এই প্রশাসনিক সন্ত্রাস বরদাস্ত করা যায় না। যখন কেউ কোনো মানুষের ওপর অন্যায়ভাবে শারীরিক-মানসিক আক্রমণ, নির্যাতন করে বা আইন হাতে তুলে নেয়, তখন তাকে বলা হয় গুন্ডা বা সন্ত্রাসী।

কোনো এমপি রাজনীতিবিদের কর্মী হলে তাদের বলি গডফাদার। আর উচ্চশিক্ষিত বানিন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে যখন একজন সংবাদকর্মীকে তার কর্তাদের দিয়ে মানসিক নির্যাতন করান তখন তাকে কী বলব? ডাইনি না প্রশাসনিক সন্ত্রাসের গডমাদার?

জনগণের টাকায় পড়ালেখা করা, জনগণের টাকায় বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সরকারি কর্মকর্তারা যখন সেবকের বদলে নিষ্ঠুর শাসকের চরিত্রে মানুষকে ধরে জেল দেয় সন্তানকে ডেকে নিয়ে শাসায় তখন বানিন ও আরিফের প্রত্যাহার এবং কমিটি গঠনে সন্তুষ্ট হওয়া যায় না।

ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত চিত্তে বলতে হয়, জাতির পিতা তাঁর জীবন উৎসর্গ করে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার নেপথ্যে লাখ লাখ মানুষের রক্ত ঝরেছে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে জনগণকে ক্ষমতার মালিক করা হয়েছে। এখানে আইন সবার জন্য সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।

বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে তৃণমূল থেকে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়, বিচার বিভাগ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এ অর্জনকে বা প্রশাসনের সুনামকে কেউ শেষ করে দিতে পারে না।

আমরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে আজ রুখে দাঁড়াবার সময় এসেছে।

প্রত্যাহার নয় বানিন ও আরিফকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। রানা অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতেন।

সাংবাদিক নেতাদের, মানবাধিকার কর্মীদের, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, আইনপ্রণেতা সবাইকে আজ এ অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমলাদের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতারে বাধা হয়ে কোনো আইন থাকলে তা বাতিল হোক। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মনিব নয় সেবক হয়েই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এদের স্যার ডাকবেন না।

এখানে গরিব ঘরের ছেলে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে স্যার শব্দটিকে প্রভুর সম্বোধনে পরিণত করেছে। মালিককে তার সেবক স্যার ডাকতে পারে না। স্যার ডাকার কোনো বিধানও নেই। রক্তে লেখা জাতির পিতার সংবিধান জনগণকেই ক্ষমতার মালিক বলেছে। নির্দয় ইউএনও-এসিল্যান্ড মালিকের গায়ে হাত তোলার এ বর্বর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।

গরিবের সন্তানদের একাংশ সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার সিন্ডিকেটে ঢুকে ‘মুই কী হনুরে’ ভাব নিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। ঘুষ-দুর্নীতি আর ক্ষমতার মিথ্যা দম্ভে মানুষকে মানুষ মনে করছেন না।

এককালে জনগণের হৃদয় জয় করা অভিজ্ঞ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরা এমপি হতেন, দাপুটে মন্ত্রী হতেন। জনগণের কাছে জবাবদিহি করে তারা যেমন পথ চলতেন, সেসব জননেতার দাপটে অনেক মেধাবী সরকারি কর্মকর্তাও তাদের সীমানা লঙ্ঘন করতেন না। একালে রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হওয়ায় প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা বিষধর সাপের মতো ফণা তুলে যাকে তাকে ছোবল দিচ্ছে।

রাজনৈতিক ও জনগণের শক্তি আইন এবং সুবিচারের মাধ্যমে এই বিষের মাথা ভেঙে দিতে হবে। নির্যাতিতের ন্যায়বিচার পাওয়া যেমন অধিকার তেমনি অপরাধীর শাস্তি ভোগ করাই একমাত্র পথ। শুধু রাজনৈতিক শক্তিরই নয়, প্রশাসনেরও ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ এখন সামনে। প্রশাসন ও রাজনীতিতে কোথাও অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। সুযোগ দিলেই রাষ্ট্রশক্তি দুর্বল হবে। দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

লেখক, সংবাদকর্মী

 


আপনার মতামত লিখুন :

3 responses to “নির্দয় ইউএনও-এসিল্যান্ডের শাস্তি চাই, প্রত্যাহার নয়”

  1. Stevengrige says:

    Medicine From India: indian pharmacy online – indian pharmacy

  2. Stevengrige says:

    MedicineFromIndia: Online medicine order – buy prescription drugs from india

  3. Stevengrige says:

    mexico pharmacies prescription drugs: mexican rx online – RxExpressMexico

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com