ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঠাকুরগাঁও পুলিশ। শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজনের অভিযোগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল ও নীলফামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হায়দার রহমান জয় (টাঙ্গাইল জেলা) ও শাকিল আহমেদ (নীলফামারীর ডিমলা)। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
লিখিত অভিযোগে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন উল্লেখ করেন, গত ১৭ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জানতে পারেন, ‘জয় খান’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) এবং অপর একটি ফেক আইডি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছবি ও নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা হচ্ছিল। প্রতারক চক্র দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছিল।
লিখিত অভিযোগে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন উল্লেখ করেন, গত ১৭ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জানতে পারেন যে, ‘জয় খান’ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এবং শাকিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি (পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভুয়া আইডি তৈরি করেছেন। এ আইডি ব্যবহার করে প্রতারক চক্র নিজেদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদা দাবি করছিল।
অভিযুক্তরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সাইবার স্পেসে এ প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রূপ ধারণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তদবিরের কথা বলে অর্থ দাবি করছিলেন।
এ বিষয়ে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই তাকে এ প্রতারণার বিষয়টি জানান। সেই ধারাবাহিকতায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার আলম খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস