ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাংবাদিক আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা। বুকে ব্যথা, তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট, চোখে ছানি এবং পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। দিন গুনছেন অনিশ্চয়তার, চোখে শুধু মুক্তির প্রহর।
পরিবার বলছে, একজন দীর্ঘদিনের অসুস্থ নারীকে অনুপযুক্ত পরিবেশে বন্দি রাখা অমানবিক। চিকিৎসা তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপনও তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
বন্যার স্বামী সাংবাদিক এটিএম সামসুজ্জোহা বলেন, “আমার স্ত্রী ভয়াবহ অসুস্থ। উন্নত চিকিৎসা না পেলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কারা মহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। এখনও সাড়া মেলেনি।”
কারা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বন্যার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার গলব্লাডারে পাথর ও চোখে ছানি ধরা পড়ে।
দিনাজপুর কারাগারের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় কুমার গুপ্ত জানান, “আমরা নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।”
বন্যার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলে আলম বকুল বলেন, “একজন গুরুতর অসুস্থ নারীকে রাজনৈতিক মামলায় আটক রাখা অনুচিত। একই মামলার অন্যান্য আসামিরা জামিনে থাকলেও তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে।”
২০২৩ সালের ২২ আগস্ট পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শুরুতে ঠাকুরগাঁও কারাগারে রাখার পর তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিনাজপুর জেলা কারাগারে। পরিবারের দাবি, একটি মামলায় জামিন পেলেও পরবর্তীতে তাঁকে আরও তিনটি মামলায় জড়ানো হয়, যা তাঁকে হয়রানির শামিল।
বন্যার পরিবার বলছে, “তাঁর অপরাধ কী? সাংবাদিক হওয়া, না কি একজন নারী জনপ্রতিনিধি হওয়া? একজন অসুস্থ মায়ের এখন মুক্তিই একমাত্র ওষুধ।”
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/