নিউজ ডেস্ক:রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম বা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বিষয়ক মামলায় রিভিউ আবেদনের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে এই তারিখ ধার্য করা হয়।
আদালতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। এছাড়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।
১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স জারি করে, যা পরে বিভিন্ন সময়ে সংশোধন করা হয়। কিন্তু এতে সাংবিধানিক পদধারীদের চেয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে—এ অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বিচারক আতাউর রহমান।
২০১০ সালে হাইকোর্ট ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আট দফা নির্দেশনা দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় আংশিক সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেন।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়:
১. সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন;
২. জেলা জজ ও সমপদমর্যাদার বিচারকরা সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে থাকবেন;
৩. অতিরিক্ত সচিবেরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।
এই রায়ের বিরুদ্ধেই পরে রিভিউ আবেদন করে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং এতে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও যুক্ত হন।
আগামী ১ জুলাই এই রিভিউ শুনানির পরবর্তী ধাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/