রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ এবং এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়ার ঘটনার জেরে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পাশাপাশি, এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।”
এর আগেই, ২১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের একাডেমিক সভায় তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত ১১ মে সন্ধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ শ্রেণির এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন দুই সাংবাদিক ও দুই শিক্ষার্থী। পরে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিযোগ করেন, ভিডিও গোপন রাখার শর্তে ক্যাম্পাসের দুই সাংবাদিক, এক সাবেক সহসমন্বয়ক এবং এক শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। ছাত্রীটিও একই দাবি করেন। তবে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন সজীব (কালবেলা) ও সিরাজুল ইসলাম সুমন (খবরের কাগজ) চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
যদিও বিতর্কের মুখে উভয় সাংবাদিকই চাকরি হারান। একইসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি থেকেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। সজীব ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সুমন সহসভাপতির দায়িত্বে।
এছাড়া, ২০ মে চাঁদাবাজির অভিযোগে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে দুই সাংবাদিক ছাড়াও আছেন আইবিএর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/