• বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“কারাগারে কাতরাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পৌর মেয়র বন্যা” বেহাল হিলির রাস্তাঘাট, চরম দুর্ভোগে পথচারীরা স্থলবন্দরের গুদামে গুদামে চাল মজুত, হিলিতে চালের দামে ঊর্ধ্বগতি গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ জামাই-শাশুড়ি গ্রেফতার ঠাকুরগাঁও দলিল লেখকদের স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, ধর্মঘটের ডাক বিদ্যালয়ে  যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান: ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে তদন্ত, ভুক্তভোগীদের তাৎক্ষণিক সহায়তা তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা গোদাগাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা হিলিতে কাব কার্নিভাল উৎসব অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও দলিল লেখকদের স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, ধর্মঘটের ডাক

Reporter Name / ১৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে দলিল লেখকদের স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর দলিল লেখকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় নানা জায়গায় সেবা গ্রহীতাদের নিয়ে দলিল সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এতে সেবা গ্রহীতাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছেন না এমনি অভিযোগ দলিল লেখকদের। অস্থায়ী ফাঁকা মাঠে বসার কারনে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন তারা। অন্যদিকে বসার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার অভিযোগ করেন সেবা গ্রহীতারাও। তারা চান প্রচণ্ড রোদ্র ও বৃষ্টির বিকল্প ব্যবস্থা ও একটি স্বাচ্ছন্দ্য পরিবেশ।

এদিকে সেবা গ্রহীতাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের জন্য মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে ফাঁকা জায়গায় খুঁটি গেড়ে ছাউনি দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করলে জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে ভেঙে দেওয়া হয় সেই স্থাপনা। এমন অভিযোগ তুলেছেন ঠাকুরগাঁও দলিল লেখক কল্যাণ সমবায় সমিতির নেতারা।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে নির্দিষ্ট জায়গার জন্য আমরা লড়াই করছি। যেখানে সরকারের রাজস্ব আদায়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি সেখানে কেউ আমাদের কথা শুনছেনা। রেজিষ্ট্রি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনুমতিতেই আমরা ঐ জায়গায় বসা শুরু করেছিলাম। এখন বর্ষাকাল হওয়াই হঠাৎ বৃষ্টি ও প্রচণ্ড রোদ থেকে বাঁচতে আজকে আমরা অস্থায়ী ছাউনি দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের কিছু না বলেই তার বাহিনীদের দিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।

তারা আরো‌ বলেন, আমরা তো স্থায়ীভাবে কোন স্থাপনা তৈরি করছিলামনা। আমাদের নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা হলে আমরা এখান থেকে চলে যেতাম। কিন্তু তারা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা না নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে। এতে শুধু আমাদের সম্মানহানি নয়, পেশাগত নিরাপত্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলিল লেখার কাজ স্থগিত থাকবে বলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দলিল লেখকরা।

অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ভাংচুরের কোন বিষয় নয়, তারা যে স্থানে স্থাপনা গড়ার চেষ্টা করছিল সেটি মূলত সরকারের জায়গা। আর যেহেতু এ জায়গাটা আমাদের অফিসের অধিনে সেক্ষেত্রে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। কোনরকম আইনী‌ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সেখানে স্থাপনা তৈরি করার কাজ করেনি। এটি একটি অবৈধ স্থাপনা। যার কারণে সেই অবৈধ স্থাপনা আমরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তানভীর/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com