আবু মহী উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
ফেসবুকের কল্যাণে বাংলাদেশ স্কাউটস এর চলতি বছরের ২ জুন স্থগিত নির্বাচন আগামী ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে নোটিশ জারী হয়েছে। জাতীয় কাউন্সিলে ২০০৮ সালে প্রবর্তিত নির্বাচনের কুফল লক্ষ্য করা গেছে প্রায় ১ যুগ পরে। গত ২ জুনের নির্বাচনে স্কাউট নের্তৃবৃন্দের ২টি দলে বিভক্ত বিভক্ত করার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচন হলে বিভক্তিটা স্বাভাবিক।
২০০৮ সালে নির্বাচনে যারা মফ:স্বলের তৃণমুলের নেতা , তারা আবেদন জানিয়েছিলাম , যারা প্রার্থী প্রত্যেকেরই সংগঠনে দরকার। নির্বাচন হলে ১ দলকে বাদ দিতে হয়। কিন্ত ভাবনাটা ছিল কাউকে বাদ দিয়ে নয়। একোমোডেট করার কথা থাকলেও সমঝোতা হয়নি, নির্বাচন হয়েছে। সংগঠন ২টি দলে বিভক্ত হয়েছে। এই বিভক্তির বিষবাস্প অঞ্চল, জেলা , উপজেলা পর্যায়ে পৌছুতে সময় নেয়নি। তার বিক্রিয়া এখনো চলমান। ২ তারিখের কাউন্সিলের ব্যর্থতা নিয়ে স্কাউট অঙ্গনে বিভক্তি এবং আইনী বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই ২ মেরুর ২জন যৌথ স্বাক্ষরে নোটিশ দিয়ে সমস্যাটাকে আরো উসকে দিয়েছেন।
সারাদেশের স্কাউট সংগঠন পরিচালনায় যারা দ্বায়িত্বে আসার সুযোগ পেয়েছেন, যাদের অনেকে স্কাউট সংগঠনের মতো সংগঠনে কস্মিনকালেও সদস্যপদ পাওয়ার কল্পনা করতে পারতেন না। তবে বাস্তবতা হলো তারাই এখন দন্ডমুন্ডের কর্তা। খুব ছোট একটা উদাহরণ দিই। একজন ইউনিট লিডার ওরিয়েন্টেশন কোর্স , বেসিক কোর্স , স্কিল কোর্স , এ্যাডভান্স কোর্স করেছেন , কমপক্ষে ৫ বছর স্কাউট দল পরিচালনা করছেন , উপজেলা , জেলা , আঞ্চলিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন , এই রকম একজন স্কাউট লিডারকে উডব্যাজ দেওয়ার সুপারিশ করা যাবে কিনা তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
দলাদলির কারনে যিনি কমিশনার হয়েছেন, যিনি নিজে স্কাউট ছিলেন না , তার পরিবারের কোন সদস্য কখনো স্কাউট ছিল না , ভাবিষ্যতেও স্কাউট সংগঠনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই , নিজে ওরিয়েন্টেশনেও অংশগ্রহণ করেননি, তিনি দীক্ষা গ্রহণ করেননি, ফান্ডামেন্টাল তো আরো পরে। নির্বাচনের কুফলে তিনি উপজেলা কমিশনার হয়েছেন। এই দুর্ঘটনাগুলো মোটামুটি সারা দেশেই বিদ্যমান।
২ জুনের কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এরপর কাউন্সিলে ভোট শুরু হয়েছে । কিছু পরিমান ভোট দেওয়া হয়েছে। এই সময় কেউ একজন ৭ দিনের মধ্যে সমঝোতা করে কমিটি নির্ধারণ করার ঘোষনা দিলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই কাজটা সেই দিনই করা লাগতো।
এখন মৌলিক প্রশ্ন , সেদিন কি ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল , আইন শৃংখলা পরিস্থিতি কি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়েছিল, মহামান্য প্রেসিডেন্ট কি ভোট বন্ধের পরোয়া না পাঠিয়েছিলেন ? কোনটাই নয়। তাহলে নির্বাচন কমিশনার কোন্ কারণে নির্বাচন বন্ধ করলেন। অনিবার্য কোন কারণে ভোট বন্ধ করলে পরের দিন ভোট করতে হতো। নির্বাচন সম্পর্কে যাদের কোন ধারণাই নাই তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি বলে অনেকে মনে করেন।
নির্বাচন কমিশনের অর্বাচীনতার কারণেই অনেকগুলো মৌলিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং গঠনতান্ত্রিক শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। যা সমাধান খুবই কঠিন। গঠনতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী ‘বিধি বিষয়ক জাতীয় কমিশনার’ তিনিই গঠনতন্ত্রকে পদদলিত করে নির্বাচনে প্রধান জাতীয় কমিশনারের প্রার্থী হয়েছেন। সেলুকাস কি বিচিত্র এ সংগঠন? এই প্রশ্নের আইনী সমাধানতো তাকেই দিতে হবে। এই অবস্থায় দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি যদি জিতে যান তাহলে সংগঠন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা অনুমান করা যায়।
স্কাউটিং অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও তিনি রাজনীতি করেন, তাঁর কোন স্কাউটিং ব্যাকগ্রাউন্ড আছে বলে জানা নাই। তবে স্বীকার করতে হবে তিনি সরকারের ডাকসাইটে আমলা ছিলেন। হতে পারে, তিনি নির্বাচিত হলে স্কাউট সদস্য বাড়বে, অর্থবিত্ত বাড়বে। তবে কোন আমলাই গঠনতন্ত্রকে গণতান্ত্রিক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। স্কাউট সংগঠনে তিনি যোগ দেননি , তাকে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। স্কাউটিংয়ে ‘অসামান্য’ অবদানের জন্য সর্বোচ্চ এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক মাসে বিধি বিষয়ক জাতীয় কমিশনার হিসাবে তিনি কি অসামান্য অবদান রেখেছেন তা আলোচ্য বিষয় নয় , বিষয় হলো প্রধান জাতীয় কমিশনার পছন্দ করলে যে কাউকেই এসব দিতে পারবেন।
স্কাউট সংগঠনে এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিধান রয়েছে। সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সুনির্দিষ্ট সময় পরে পরে ধারাবাহিকভাবে এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিধান আছে। ক্রমিকের একটা বাদ দিয়ে উপরের ধাপেরটা পাওয়া যাবে না। সার্টিফিকেট থেকে সর্বোচচ এওয়ার্ড রৌপ্য ব্যাঘ্র পেতে একটি স্কাউট লিডারের কমপক্ষে ৩০ বছর প্রয়োজন।
ক) জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৫/৬/২৪ তারিখে শেষ হয়েছে। ৬/৬/২৪ তারিখ থেকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির আইনত: কোন কার্যকারিতা নাই।
খ) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কেন স্থগিত করেছেন তার কোন কারণ নাই।
গ) বিনা কারণে চলমান নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এই কমিশনের নির্বাচন করার আর কোন বৈধ ক্ষমতা নাই।
ঘ) আবার নির্বাচন ঘোষনা করা হয়েছে ৬/৭/২৪। এই দিন নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নাই। কেননা নির্বাহী কমিটি এবং কাউন্সিলার তালিকা বৈধ নয়।
ঙ) গঠনতান্ত্রিক শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। গঠনতান্ত্রিক এই শুন্যতায় অবৈধ কাউন্সিলার দিয়ে নির্বাচন করলে খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এমনিতে গঠনতন্ত্রের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার পর খারাপ নজীর সৃষ্টি হবে। কোথাও কোন নিয়মকানুন থাকবেনা।
চ) এই নির্বাচনের উপরে কোন কাউন্সিলার আদালতে মামলা করলে নির্বাচন স্থগিত হবে। তখন সাংগঠনিক অচলাবস্থা দেখা দিবে।
ছ) এই সমস্যার সমাধান গঠনতন্ত্রে নাই,বিধিতেও নাই। সুতরাং বিকল্প পন্থায় শান্তিপুর্ণভাবে কমিটি গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল তৈরি করে সেই প্যানেলকে পাশ করে নিতে হবে। এই প্যানেল , নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে , বৈধতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা যাবেনা। তবে গঠিত কমিটির উচিত হবে যত শীঘ্র সম্ভব একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক , যুগোপযোগী গণতান্ত্রিক একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করা।
জ) সবচেয়ে বড় সমাধান , তাহলো ৬ তারিখে যা হয় হোক , কেউ ভাববেননা যে কোন কিছু হয়েছে। তাহলেই তা সম্ভব।
এ বিষয়ে ২/৩টি উদাহরণ দিতে চাই। ১) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্কাউটস এর কাউন্সিল। কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ , ৬ মাসের অতিরিক্ত মেয়াদ শেষ, এ্যডহক কমিটির মেয়াদ শেষ। কাউন্সিল সভা আহবান করা হয়েছে। কাউন্সিলার তালিকায় মৃত মানুষেরও নাম আছে। সুতরাং কাউন্সিল বন্ধ। এখন গঠনতন্ত্রে পাশে রেখে কাউন্সিল হবে কিনা তা কেউ জানেনা। এডহক কমিটির পর তো আর কিছু নাই। এই ঘটনা ঠাকুরগাঁও জেলা এবং উপজেলা সংগঠনের নিয়মিত ঘটনা।
উদাহরণ ২) জয়পুরহাট জেলা। ডিসি সাহেব মনে করলেন , কমিটির সম্পাদক কমিশনার তার পছন্দমতো হওয়া দরকার। যেই ভাবা সেই কাজ। গঠনতন্ত্রের মতো পুস্তক কোন কাজে আসলো না। এডিসি সাহেবকে কমিশনার না করতে পারলে তার মান থাকে না। কমিটি ভেঙ্গে চুরে গুড়া করলেন। তিনি সরাসরি এডিসিকে কমিশনার করবেন। সম্পাদক নিজে কেন্ডিডেট নন সে কারণে তার কিছু আসে যায় না।
তিনি পরামর্শ দিলেন এভাবে তো করা যাবে না। এডিসিকে আগে কাউন্সিলার হতে হবে। কাউন্সিলার হতে হলে তখন একমাত্র উপায় উপজেলা থেকে প্রতিনিধি হিসাবে আসতে হবে। নজীরবিহীন ঘটনা ঘটলো । সদর উপজেলা স্কাউটের প্রতিনিধি হয়ে আসলেন এডিসি সাহেব। যা হবার সামান্যতম সুযোগ নাই। তিনি কমিশনার হলেন। জেলা শিক্ষা অফিসার হলেন সম্পাদক। কাউন্সিলার না হলেও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হলেন ট্রেজারার।
এই সব দুর্ঘটনা ঘটলো জয়পুরহাট জেলার দ্বায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ স্কাউটস এর কর্মকর্তা , স্কাউটের সহকারি পরিচালক আনোয়ার হোসেন সাহেবের পরামর্শে। জেলা শিক্ষা অফিসার বদলী হলেন , ডিসি সাহেব নুতন সম্পাদক করলেন জেলা ক্রীড়া অফিসারকে। তিনি তো সংগঠনের কোন স্তরেই নাই। কাউন্সিলারতো ননই। তিনি বদলী হয়েছেন। একজন ভারবাহী হয়েছেন। ট্রেজারার বদলী হয়েছেন। কেউ ট্রেজারার হয়নি। কমিশনারতো বদলী হয়েছেন কবে সে পদেও কেই নাই। অবশ্য ডিসি সাহেবও বদলী হয়েছেন। নুতন ডিসি সাহেব এসে এতো গুলো অনিয়ম মেরামতের ঝামেলা বহণ করেননি।
উদাহরণ ৩) রাজশাহী আঞ্চলিক স্কাউটস এ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্পাদক হলেন গায়ের জোরে। তার তো সম্পাদক হওয়ার কোন সুযোগ তো নাইই আবার ডিডি মাধ্যমিক শিক্ষা যেখানে কমিশনার সেখানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কোন বিবেচনায় সম্পাদক হন?
অনেক জায়গাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অতি উৎসাহী হয়ে সংগঠনের বারোটা বাজান। তারা স্কাউটিংকে ভালবেসে ভুল করেন তা নয়। তারা চাকুরীর রাস্তা মসৃন করার আগ্রহে এই সব অনিয়ম করেন। কেন না কেন্দ্র যারা শাসন করেন তারা তো উর্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সুতরাং কোন ঘাটে নাও ভিড়াতে হবে তারা তা বুঝবেন না তাই বা হয় কি করে?
পঞ্চগড়ে কর্মকালীন একজন এডিসি এসেছিলেন। তিনি তবলিগ করে বেড়াতেন। কিছুদিনের মধ্যে পঞ্চগড়ের অধিকাংশ ঠিকাদার এবং মতলববাজরা তবলীগে যোগ দিলেন। শুধু তাইই নয় , তারাও গাড়ী ভাড়া করে তবলিগে যেতেন। তারা এডিসি সাহেবের চেয়েও বড় তবলীগ হলেন। এডিসি সাহেব বদলী হয়ে যাওয়ার পর আর ঐ সব তবলিগী ভায়েরা তবলিগ ছেড়ে দিয়েছেন।
স্কাউট সংগঠনে এখন অতি মাননীয়দের পদচারনা বেশী। ফলে তাদের ইগোও বেশী। তারা ভাবেন তারা স্কাউট সংগঠনের জন্য অত্যাবশ্যক , তাদের মতো মাননীয় যে দেশের স্কাউট সংগঠনে নেই সে দেশে স্কাউটিং চলে না এবং এদেশেও চলবে না। আপনারা স্কাউটিংকে যত ভালোই মনে করেন , এটা প্রমান করতে পারতেন যতি আপনাদের ছেলে-মেয়েদের স্কাউটিং করাতেন। যা হোক সে সব আলাদা বিষয়। বর্তমান সময়ে যে গঠনতান্ত্রিক শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে , তার সমাধান গঠনতন্ত্রের মধ্যে খুজে বের করুন। এমনিতেই বাংলাদেশ স্কাউটস এর গঠনতন্ত্র বিশ্বের সকল গঠনতন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র।
এই সংগঠনে জাতীয় পর্যায়ে মাত্র ৪টি পদে নির্বাচন হয়। আর জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রধান জাতীয় কমিশনারের মনোনীত ২০ জন জাতীয় কমিশনার মনোনীত হয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়ে যান। এই মনোনয়নের জন্য তিনি কারো কাছে দ্বায়বদ্ধ নন বা কারো অনুমতি , পরামর্শ করতে হবে না। তিনি শুধু বাংলাদেশের নাগরিক হলেই হলো। তার স্কাউটিং কোন ব্যাকগ্রাউন্ড দরকার নেই। ট্রেনিং,অভিজ্ঞতা কোন কিছুরই দরকার নেই। তিনি আবার ৪০ জন কাউন্সিলার বানাবেন , যাদের পদ হবে জাতীয় উপকমিশনার।
জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন হবে ৪ পদে , আর প্রধান জাতীয় কমিশনার এককভাবে প্রায় ৭০ জনকে মনোনয়ন দিতে পারবেন , এই বিধান কি থাকা উচিৎ? গণতন্ত্রের কোন ধারায় এটা পারে? আঞ্চলিক পর্যায়ে একই নিয়মে ১২ জনকে মনোনয়ন দিয়ে থাকেন কমিশনার সাহেব , জেলা , উপজেলা পর্যায়েও একই রকম। কমিশনারের ক্ষমতাটা এই রকম যে, ধরুন কোন পর্যায়ে কাউন্সিলার ২০০ জন। কোন বিষয়ে ১৯৯ জন কাউন্সিলার এক দিকে মতামত দিলেন , কমিশনার একা একমত হলেন না , সেই সিদ্ধান্ত হবে না। গণতান্ত্রিক দেশে কোন সংগঠনের এই রুপ গঠনতন্ত্র থাকা উচিত কিনা সেটা নিয়ে ভাববার সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
স্কাউটিংয়ে আগে অর্থ ছিল না , কোয়ালিটি স্কাউটিং ছিল। এখন আর্থিক সামর্থটা একটু বেশীই হয়েছে। এসব অর্থ ব্যয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠুক সেটা আমরা চাই না। এক সময় বাংলাদেশ স্কাউটস এর গঠনতন্ত্র প্রনয়ন এবং পরবর্তীতে গঠনতন্ত্র সংশোধনী সংক্রান্ত ওয়ার্ক শপ করতে গিয়ে এবং উপজেলা , জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নে গঠনতন্ত্রের সামান্য চর্চা করতে গিয়ে এই সব ধারণা হয়েছে। দুই পক্ষই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছে।
ইশতেহারে ক্রমিক হিসাবে আকর্ষনীয় কথা থাকলেও নুতন কিছু নাই। যা বলেছেন সে সবই তাদের করনীয়। তবুও মন্দের ভালো নির্বাচন করতে গিয়ে ইসতেহার তৈরি করতে এই সব দ্বায়িত্বের বিষয় মনে করতে হয়েছে। তবে আধুনিক , গনতান্ত্রিক, যুগোপযোগী একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করাই হবে মৌলিক কাজ। এই প্রত্যয় নিয়ে যারাই নির্বাচিত হবেন তাদের আগাম অভিনন্দন।
আবু মহিউদ্দীন/লেখক/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/