• সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

ঘুষ বানিজ্যে ভরা চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস

Reporter Name / ৭৬ Time View
Update : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

টাঙ্গন ডেস্ক নিউজ : জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ বাণিজ্য সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, ভূমি অফিসের সূত্র মতে ভূমি নামজারি বা খারিজ করতে টাকা লাগে মোট ১১৭০ টাকা। এর মধ্যে আবেদন কোর্ট ফি-২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি-৫০ টাকা, খতিয়ান ফি-১০০ টাকা এবং রেকর্ড সংশোধন ফি-১০০০ টাকা। আবার লাহিড়ী হাটে জমি লিজ নিতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা।

কিন্তু উপজেলার চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নে জমি নামজারি করতে জমির মালিককে প্রতিটি নামজারির জন্য গুনতে হয় ৫০ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। আর সিন্ডিকেটের হোতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম।

কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা, একই স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে চাকুরী করা, কর্তা ব্যক্তিদেরকে মোট অংকের টাকায় ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। আর এমন চিত্র শুধু চারোল ও ধনতলা ইউনিয়নেই নয়। আমজানখোর ইউনিয়নসহ উপজেলার অন্য ইউনিয়ন গুলোতে একই চিত্র।

লাহিড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন আমি জমি খারিজ করতে গেলে ২০ হাজার টাকা চায়। দর কোষাকষির পরে আমাকে ১০ হাজার টাকায় খারিজ করতে হয়। আবার অনেকের কাছ থেকে খারিজ প্রতি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আবার দেখা গেছে মোটা অংকের টাকায় একজনের জমি আরেকজনকে খারিজ করে দিয়েছেন।

কাপড় ব্যবসায়ী আশুতোষ বসাক বলেন লাহিড়ী বাজারে আমার দখলকৃত জমি লিজের জন্য আমার কাছে ১০ টাকা নিয়েছে। এমন চিত্র শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, লাহিড়ী বাজারে ঘুরলে শত শত অভিযোগ পাবেন।

লাহিড়ী বাজারের আবুল হোসেন বলেন আমাদের জমি রেকডিয় মালিক আমার বাবা, আমরা খাজনা দিয়েছি, খারিজ করেছি। কিন্তু তহশীলদার হাসিবুল টাকার বিনিময়ে আরেকজনকে খারিজ করিয়ে দেয়। পরে আমরা এসিল্যান্ডের কাছে দরখাস্ত দিয়ে অনেক হয়রানির পরে সংশোধন করে নেই। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না।

অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হাসিবুল রহমান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ গুলো সঠিক নয়। আমি সব সময় নিয়ম অনুযায়ী কাজ করি এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলি। জনগণের সেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য।”

বালিয়াডাঙ্গী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন এধরনের অভিযোগ শুনার পরে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের বদলীর বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে যতাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, “ভূমি অফিসে ঘুষ বা অনিয়মের কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের নজরে এলে আমরা তা তদন্ত করে দেখবো। জনগণের সেবা প্রদানকারীরা যদি অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com