ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে টানা টানা ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকেও জেলাজুড়ে তীব্র রোদ ও গরম অনুভূত হয়। ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের এই চরম তাপপ্রবাহেও কাজ করতে হচ্ছে।
শ্রমজীবী মানুষদের অনেকেই জানান, দিনের পর দিন এভাবে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কাজ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য কিছুক্ষণ কাজ করলেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, মাথা ঘোরে ও ক্লান্তি চলে আসে। কিন্তু কাজ না করলে পরিবার চালানো সম্ভব নয়, তাই উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতিদিন মাঠে বা রাস্তায় কাজ করতে নেমে পড়তে হয়। তারা এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিশেষ সহায়তা দাবি করেন।
বৃষ্টির দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও লাগাতার খরতাপের কারণে তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এতে শুধু কাজের অসুবিধাই নয়, বাড়ছে নানারকম রোগবালাইও। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হিটস্ট্রোকসহ নানা গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. মনজুর ইসলাম জানান, “গরমের তীব্রতা এখন অতিমাত্রায় পৌঁছেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। এই অবস্থায় সবার উচিত বেশি করে পানি ও স্যালাইন খাওয়া এবং যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে থাকা।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “গরম উপেক্ষা করে কাজ করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে, যা প্রাণঘাতীও হতে পারে।”
এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলা, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/