• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় বিকল হয়ে আছে রক্ত পরীক্ষার মেশিন !

Reporter Name / ১৪৭ Time View
Update : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রাসায়নিক (রিএজেন্ট) না থাকায় বিগত এক বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দ্রুত সময়ে নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে রক্ত পরীক্ষা শনাক্তকরণের জন্য ২০২৩ সালের মার্চে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) একটি হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের এক মাস পরে যন্ত্রটির প্রয়োজনীয় উপকরণ রাসায়নিক (রিএজেন্ট) সঙ্কট দেখা দেয়। কিন্তু প্রায় ১ বছর গত হয়ে গেলেও রিএজেন্ট সংগ্রহ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সচল যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে আছে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসককে দেখানোর পরে রিপোর্ট পেতে দেরী হলে পরে চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হয় না। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বর্হিবিভাগের চিকিৎসক আর থাকেন না। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও রোগীর স্বজনদের।

আশরাফুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে টিকেট কেটে পৌনে একটায় ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার সুযোগ পেয়েছি। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা দিয়েছে। রিপোর্ট যে কখন পাবো ঠিক নেই। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ডাক্তার দেখাতে পারবো কী না তা নিয়ে চিন্তিায় আছি।

আসমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, মাকে ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। দুই ঘন্টা পর এখন রিপোর্ট দিচ্ছে। আরও দ্রæত সময়ে রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসককে সময় মতো দেখাতে পারতাম। এর জন্য আরেক দিন আসতে হবে।

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (ইনচার্জ) ফনিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, যেখানে টেকনোলজিস্টদের হাতে পরীক্ষা করতে সময় লাগে ১ঘন্টার মত সেখানে মাত্র ২মিনিটে হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন দ্বারা শতভাগ নিখুঁত রিপোর্ট দেয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে এ মেশিনে ১ হাজার রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা যায়। রিএজেন্টের অভাবে এটি বন্ধ হয়ে আছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, টেন্ডার দেয়া হয়েছে রিএজেন্ট হাতে পেলে মেশিনটি আবার চালু হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগদানের তিন মাস হয়েছে। এরআগে কেন চালু করা হয়নি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এর মধ্যে রিএজেন্টের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/