• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

আদালত চলাকালীন সময়ে বিচারকের দিকে জুতা নিক্ষেপ

Reporter Name / ২৬৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে নিহতের কুল খানির দিনে হত্যা মামলার আসামীর জামিন দেওয়ায় বিচারকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছে মামলার বাদীনি।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড় এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিসেট্রট অলরাম কার্জী এর আদালতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৫-ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের সাহেবীজোত গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোঃ ইয়াকুব আলী (৮৩) নামে এক ব্যক্তি সম্পর্কে ভাই মোঃ মোমিন(৫৫) এর পরিবারের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন। এ ঘটনায় মৃত ইয়াকুব আলী’র মেয়ে মোছাঃ মিনারা আক্তার (২৫) বাদী হয়ে মোঃ মমিন(৫৫) সহ ১৯ জনের নাম উল্লখ করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে লিখিত এজাহার জমা দেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজকে নিহত ইয়াকুব আলী’র বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে আদালতে ৪নং থেকে ১৯নং পর্যন্ত ১৬ জন আসামী জামিনে মুক্তি পেলে মামলার বাদী মোছাঃ মিনারা আক্তার বিচারকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা ছুঁড়ে মারেন। এতে আদালত চত্বরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মিনারা আক্তার’কে পুলিশ আটক করে।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম (হাবিব) বলেন, আমরা জামিনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাছে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট চাচ্ছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাচ্ছে। সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ব্যাক্তিগত আইনজীবী হিসেবে আমাদের দাঁড়া সরবরাহ করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞ আদালত কেন আমাদের কাছে সুরতহাল রিপোর্ট চাচ্ছে তা বিজ্ঞ আদালতের ব্যাক্তিগত বিষয়। সদ্য ঘটে যাওয়া ৩০২ ধারায় হত্যা মামলার আসামী জামিন দেওয়া সেটা আদালতের বিষয়। কিন্তু জনাব অলরাম কার্জী স্যার ৩০৭ ধারায় আসামী জামিন দিতে গড়িমসি করেন। ৩২৩ ধারার আসামী হাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আজকে ৩০২ ধারার আসামী ভালো করে শুনানি না শুনে, তদন্ত রিপোর্ট আসার আগেই আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত আসামীদের জামিন দিলেন। আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় একটা হত্যাকাণ্ড ঘটনায় আসামী সাত দিনের মধ্যে জামিন পান আমরা দেখিনি।

আসামীরা জামিন পেলে বাদী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং নিচে পড়ে যায়। তাকে তুলতে গেলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পায়ের একটি স্যান্ডেল সিটকে উপরে উঠে। তিনি আদালতকে বলতে থাকেন, একটি হত্যা মামলার আসামী সকলে জামিন পেলেন। একজনেও জেল হাজতে গেল না। আমরা সবাই নিরাপত্তা হীনতায় থাকবো। আমি নিজেও আদালতকে বলেছি এ ধরনের অপরাধে আসামীরা জামিন পেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে।

এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট আবু ইউনুস আলী (লেলিন) বলেন, জামিন শুনানি হচ্ছিল। বাদী পক্ষ থেকে আপত্তি দিয়েছিল। আদালত শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে আসামীদের জামিন দিলে বাদী বিচারককে স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন। কাউকে জামিন দেওয়া বা নাদেওয়া সেটা আদালতের ব্যাপার। বিচার চলাকালীন বিচারকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা ছুঁড়ে মারা, আজকে উনাকে মারছে কালকে আরেক জনকে মারবে এটা ঠিক হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/