• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা !

Reporter Name / ২২২ Time View
Update : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩

মোঃ মজিবর রহমান শেখ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। আর শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। দিনে প্রচন্ড গরম আর ভোর রাতে শীত, বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠে ঠান্ডা। সেভাবে শীতের শুরু না হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষের হিড়িক পড়েছে লেপ-তোষক বানাতে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক বানানোর দৃশ্য চোখে পরে। এর মধ্যে শহরের গোধুলী বাজার, কালিবাড়ী, টেকনিকাল কলেজ মোড়, বাসষ্ট্যান্ড, নরেশ চৌহান সড়ক, ঠাকুরগাঁও রোড সহ বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দোকানের সামনে বসে একের পর এক লেপ-তোষক বানাচ্ছেন তারা।

শহরের গোধুলী বাজার এলাকার লেপ-তোষকের দোকানদার আব্দুল জলিল জানান, প্রতিদিন তারা লেপ সেলাই করে থাকেন। সাইজ অনুযায়ী প্রতিটি লেপে তারা মুজরি পান দেড়শ থেকে ২শ টাকা। আর সেলাইকর্মীরা সবাই একই নিয়মে মুজরি নিয়ে থাকেন। দিন শেষে ৬’শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার হয় তাদের। তা দিয়েই সংসার চালান তারা।

লেপ বানাতে আসা শহরের গোয়ালপাড়া মহল্লার গৃহিনী সিদ্দিকা বেগম বলেন, দিনে সামান্য গরম থাকলেও রাতে ঘুমানোর সময় অনেক ঠান্ডা করছে। বিশেষ করে রাতের শেষ সময়ে প্রচুর ঠান্ডা। তাই আগেভাগেই শীতের জন্য লেপ বানাতে আসছি। কারন শীত যতই বাড়বে এসব দোকানে ভীড় ততই বাড়বে।

পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়িরা জানান, কিছুটা শীত অনুভ’ত হলেও এখনো ভালো করে শীত পরেনি। এর পরেও রাতে শীত করে। তাই লোকজন শীতবস্ত্রের প্রতি ঝুঁকছেন। প্রতিদিন প্রায় ১০-১২টি লেপ-তোশকের অর্ডার আসছে। শীত যতই বাড়বে অর্ডার ততই বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি।

শহরের কালিবাড়ি এলাকার মিন্টু তুলা ঘরের স্বত্তাধিকারী মিন্টু ইসলাম জানান, তুলা ও কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপ-তোষক বানাতে খরচ কিছুটা বেশি পরছে। শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি, কার্পাস তুলা ১৫০ থেকে আড়াইশ টাকা, গার্মেন্টস তৈরি কালো হুলু কালা পচা তুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সাদা তুলা ৮৫ থেকে ১শ টাকায় কিনতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও কাপড়ের গজ মান অনুযায়ী প্রতি গজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে ভালো মানের একটি লেপ বানাতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫শ টাকার মতো খরচ পরছে।

একই মানের একটি তোষকেও খরচ আসে প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও কারও ব্যক্তিগত আরও ভাল মানের লেপ-তোষকে খরচ তাদের চাহিদামত। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন করিগররা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/