ডেস্ক রিপোর্ট : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফসলের মাঠ। সরষে ফুলের হলদে রংয়ে অপরুপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতি। অপরদিকে মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
রাণীশংকৈল কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে সরষের আবাদ হয়েছে। এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৯০ হেক্টর জমিতে বেশী সরিষার আবাদ হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সরিষা ক্ষেতে ফুটেছে ফুল। আবার কোথাও কোথাও ফল আসতে শুরু করেছে। মাঠের ফসল দেখতে বেশ তরতাজা মনে হয়েছে, যা ভালো ফলনের জানান দিচ্ছে বলে মনে করেন কৃষকরা।
অপরদিকে সরিষা ক্ষেতের পাশে খোলা জায়গায় সারি সারি করে চাক ভরা বাক্স ফেলে রেখেছেন মৌচাষিরা। প্রতিটি মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয়েছে রানি মৌমাছি। রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছি আসতে থাকে। মৌমাছি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু আহরণ করে। আর সেই মধু সংগ্রহ করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন মৌচাষিরা।
এলাকার কৃষক মোহাম্মদ মুসা বলেন, অল্প শ্রম আর স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সঠিক পরিচর্যায় এবার সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে। অল্প সময়ে সরিষার বাম্পার ফলনে চলতি মৌসুমে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন অনেকে। একই কথা বলেন শরিফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর এলাকায় মধু সংগ্রহ করতে আসা মৌচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ খুবই লাভজনক। এতে কৃষক ও মধু চাষিরা উভয় পক্ষই লাভবান হয়। একদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করে লাভবান হন। অপরদিকে মৌমাছি ফুলে ফুলে মধু আহরন করায় ব্যাপক পরাগায়ন ঘটে। এতে কৃষকরা পান সরিষার বাড়তি ফলন।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, তৈল বীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সরিষার আবাদ করে কৃষক অল্প সময়ে বেশী লাভবান হন। আবার সরিষার ফুল থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ লাভবান হন।
https://slotbet.online/