মুসলিমুর রহমান, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন। ইতোমধ্যে পোষ্টারের মহড়া চলছে দারুনভাবে। এ উপজেলায় পৌরসভা সহ ১০ ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সোমবার ২০ মে’ থেকে। ১৯ তারিখ প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং প্রার্থীদের ২০মে মার্কা প্রদান করা হয়েছে।
এরপর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার প্রচারনা।বিশেষ দলীয় নেতা কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারন মানুষের মাঝে ভোটের ইমেজ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেক আগে থেকেই তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষ্যে তারা মাঠপর্যায়ে জনসংযোগ, ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভা, দান-দক্ষিণা মানুষের মন জয় সবই করেছেন। তবে যে প্রার্থী এসব বেশি বেশি করেছেন, সেই প্রার্থীই রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ও শ্রেষ্ঠত্বে।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থেকে এ সংবাদ পাঠানো পর্যন্ত যারা ভোটে স্ট্যান্ডিং পজিশনে মাঠে আছেন, তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি কাজী আব্দুল গফুর, আওয়ামী লীগ সমর্থক হাজ্জাজুল ইসলাম ও সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন চলমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল মোমেনিন মোমিন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রায়হান নেতা। সংরক্ষিত মহিলা আসনে রয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা নাসরিন ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান রুকশানা বারী রুকু।
একটি জনমত নিরীক্ষায় দেখা যায় নির্বাচনের পূর্বাপর পার্বতীপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক এবং এখানে একমুখী নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। কারন তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং হেভিওয়েট নেতা।এছাড়াও প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রতসাহার করেছেন।
উল্লেখ্য, লাগাতার ৮ বারের কাউন্সিল নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক ম্যান মানি পপুলারিটি ও লিডিং এ্যাবিলিটির ক্ষেত্রে আনপ্যারালাল। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতাও তার বেশি। এলাকার উন্নয়ন সহ দান ও জনকল্যাণে তার জুড়ি নেই। জনসেবায় অবিরত ছুটে চলাই যেন তার রাজনৈতিক জীবন। সংগঠন আওয়ামীলীগকে নিয়ে তার সাংগঠনিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত ও শক্তিশালী। বড় কথা তার দল নির্বাচন করছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আব্দুল গফুর ব্যক্তি জীবনে একজন চৌকস ব্যাক্তি ও পেশাগতভাবে পার্বতীপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক। তার স্থানীয় রাজনীতির অবস্থা কেন্দ্রীয় রাজনীতির মতই। লোকাল পজিশন সুদৃঢ় করনে ভূমিকা নেই। একাধিকবার উপজেলায় দাঁড়ালেও খুব বেশি একটা গ্রহনযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারেননি। মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক ভিত্তিও তেমন নেই। তবে প্রতি গ্রামে দু চারজন করে জাতীয় পাটী সমর্থক রয়েছে তার।
প্রার্থী হাজ্জাজুল সাধারন মানসিকতার একজন মানুষ। ব্যাবসা করেন।আওয়ামী পরিবারের মানুষ বলে দাবি করেন আবার কখনো বলেন আমি স্বতন্ত্র। অনেকটা শখের বসে ও নিজেকে পরিচিতির তালিকায় তুলে ধরতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলে অনুমেয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক আতিকুর রহমান দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাবের মধ্য বয়সী সমাজ সেবার পথযাত্রী। তার সাংগঠনিক কোন বড় শক্তি না থাকলেও সাংবাদিক মহলে একটা পরিচিতি রয়েছে। বিপ্লবী মনা কথাবার্তা বলেন তথা দৃঢ়চেতা গোচের একজন যুবক তাকে বলা যায়।তবে সে ব্যক্তি ইমেজে স্বাতন্ত্রিক কিছু ভোটের দাবীদার সে কথাই বলছে জনমত জরিপ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের আমিরুল মোমেনিন মোমিন ও প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুর রায়হান নেতা দু’জনই মাঝারি ক্লিন ইমেজ লিডার। এলাকায় পরিচিতিও রয়েছে বেশ, দু’জনই আওয়ামীলীগ করেন। এ পদে যদি কেউ কাউকে ছাড় না দেন এবং নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকেন, তাহলে হয় বিপুল ব্যবধানে কারও জয়লাভ নতুবা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মতামত যাচাইয়ে এমনটাই মিলছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনেও ওই একই অবস্থা বিরাজ করছে। একজন চলমান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরজন একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা। ম্যান মানি ইল্লিজিবুলিটি তারও রয়েছে।
https://slotbet.online/