• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে নৌকার কান্ডারী হতে চান এ্যাড. ইন্দ্র নাথ রায়

Reporter Name / ২৩৮ Time View
Update : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঠাকুরগাঁও : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ঝাপ। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন অনেকে।

ঠাকুরগাঁও আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এ্যাড. ইন্দ্র নাথ রায়। তিনি ২০০৪ সাল থেকে জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির একজন অন্যতম সদস্য। দীর্ঘ দিন ধরে আইন পেশায় থেকে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আইনজীবী সমিতির সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৮ সাল হতে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

তিনি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মরহুম খাদেমুল ইসলাম এম,পি এর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের পরে বিএনপি জামাত জোট সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে প্রতিরোধের জন্য গঠিত ঠাকুরগাঁও জেলা নাগরিক কমিটির সাবেক সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন এবং স্পর্শকাতর খুন, ধর্ষন, জমি দখল নির্যাতনের মামলা গুলোতে আসামিদের সাজা করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

২০০৪ সাল থেকে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ হিন্দুবৌদ্ধখ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৯৯৩ সালে জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠার পর হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্য্য নির্বাহী কমিটির সাবেক সহসভাপতি সদস্য। জেলা কমিটি প্রতিষ্ঠাকালে সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য, ঠাকুরগাঁও এম,এন,এইচ টাকস ফোর্সের সদস্য, ঠাকুরগাঁও রেড μিসেন্ট সোসাইটি আজীবন সদস্য এবং জেলা সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ্যাড. ইন্দ্র নাথ রায়ের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন ঠাকুরগাঁও থেকে। সদর উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মথুরাপুর পাবলিক হাইস্কুল থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি পাশ করার পর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ হতে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি, ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৮২ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন দায়িত্বও পালন করেছেন।

তিনি ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন অবস্থায় ছাত্রলীগের পদ পদবী হীন কর্মীছিলেন। তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী অনন্ত সিং এর ছোট ভাই সাগর সিং এর একমাত্র জামাতা।

এ্যাড. ইন্দ্র নাথ রায়ের পিতা নরেন্দ্র নাথ রায় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন। তার ছোট ভাই হৃষিকেশ রায় (লিটন) ৭নং চিলারং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি এবং ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করেন।

তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় লীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধারন করে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন স্থরের মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।

তিনি মনে করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং তিনিও চান প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় পরিচ্ছন্ন যোগ্য এবং স্মার্ট প্রার্থী মনোয়ন দেওয়া।

তিনি বলেন আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দলের সাথে থেকেছি। আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা নিজেরাই এলাকায় প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমি ২০০৮, ২০১৪ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু দলীয়  মনোনয়ন না  পাওয়ায় নির্বাচনে পদপ্রার্থী হওয়ার চিন্তা করিনি বা প্রতিদন্দীতা করিনি। নেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঠাকুরগাঁওয়ের রাজনীতি এবং নেতাদের সম্পর্কে জানেন। তাই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই, যদি নেত্রী দলীয় নমিনেশন দেন।

এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনঠাকুরগাঁও আসনের বর্তমান সংসদ  রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ার‌ম্যান অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো ও সদস্য সাহেদুল ইসলাম সাহেদ ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/