টাঙ্গন ডেস্ক রিপোর্ট : ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি লাঙ্গলের কাছে নৌকাকে বিসর্জন দিতে হলেও জোটের অপর শরিক হাতুড়ি মার্কা রয়েছে শক্ত অবস্থানে। উপ-নির্বাচনের ভোটের ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে আসনটি ছিনিয়ে নিতে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে জাতীয় পার্টি। রাত দিন একাকার করে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, হাটসভা পথসভা। এদিকে সরকারি দলের একটি বড় অংশ একাত্বতা পোষন করায় ওয়ার্কাস পার্টির গোপাল চন্দ্র রায়ের মনোবল বেশ বেড়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলা নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। পীরগন্জ উপজেলার ১০টি ও রাণীশংকৈল উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা নিয়ে এ আসন।
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহাম্মদ নৌকাকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। লাঙ্গলের প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন ৪ বারের এমপি হিসেবে জনগণের সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।
মহাজোটের অপর শরীক ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বর্মন। তিনি দলবল নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ ওয়ার্কাস পার্টির এই প্রার্থীর সঙ্গে একাত্বতা পোষন করে প্রার্থীর সঙ্গে গণসংযোগ,হাটসভা পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্কাস পার্টির সাবেক এমপি অধ্যক্ষ ইয়াসিন আলী দলের অস্তিত্ব ধরে রাখতে বসে নেই।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে এবার ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা হলেন ওয়ার্কাস পার্টির মনোনীত প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায়(হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন আহাম্মদ (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের এসএম খলিলুর রহমান সরকার (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা.আশামনি (ঈগল)।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৪ জন।পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৬ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৮ জন।মোট ভোটকেন্দ্র ১২৮টি।
https://slotbet.online/