ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের আওতায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমন কি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও কৃতকার্যের ঘটনা ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাবঃ), সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, কীটতত্ত¡ীয় টেকনিশিয়ান, ষ্টোর কিপার, স্বাস্থ্য সহকারী, গাড়ি চালক, ল্যাব এটেনডেন্টসহ ৫৫টি শূন্য পদ পূরণের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ৮টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন ২২ হাজার ৪৯০ জন।
প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে পরিসংখ্যানবিদ পদে মো. হারুন-অর রশীদ নামে এক আবেদনকারি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও উত্তীর্ন হয়েছেন। যা নিয়ে রিতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা শহর জুরে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেন নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন বরাবরে। কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি তিনি। এছাড়াও একজনের পরীক্ষা আরেকজনকে (প্রক্সি) দিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
একটি সূত্র জানায়, মৌখিক পরীক্ষার দিন প্রার্থীর হাতের লিখার সাথে পরীক্ষার খাতার লিখার মিল না থাকায় ওই সমস্ত প্রার্থীদের আটক করিয়ে রাখারও ঘটনা ঘটে।
পরিসংখ্যানবিদ পদে পরীক্ষা দিতে আসা মো. রাসেল রানা বলেন, আমার রোল ছিল ২৩২১৩০০০৩৪। আমি কালেক্টরেট স্কুলের ৯নং রুমে পরীক্ষা দিয়েছি। আমার সামনে যে সিটটি ছিল রোল নং-২৩২১৩০০০৩৩ তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু যখন রেজাল্ট দেখি আমার সামনে যেহেতু ওনি উপস্থিতই ছিলেন না। ওনার রেজাল্ট কিভাবে আসলো। আমি দেখে হতভম্ব হয়েছি।
অভিযুক্ত হারুন-অর রশীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: নূর নেওয়াজ আহমেদ বলেন হারুন-অর রশীদ নামে পরিসংখ্যান বিদ পদে যে ছেলেটি লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়েছিল তার হাতের লিখার অসামঞ্জস্য পাওয়ায় তাকে মৌখিক পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা হয়। কেন এটা হলো সেটা আামাদের জানা দরকার। এব্যাপারে আরও তদন্ত করা হবে।
https://slotbet.online/