• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশি ২৪ জেলেকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক ঘোড়াঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ শ্রমিকে কারাদণ্ড আ.লীগ নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পুন:বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন হিলিতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করণ ও পরিকল্পনা সভা ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ফিরে পায়নি ছেলেকে, মানববন্ধনে মায়ের আকুতি ঠাকুরগাঁওয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি, চার কারখানা মালিককে জরিমানা বিরামপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি আটক

শিবির এত টাকা কোথায় পায় ?

Reporter Name / ১০০ Time View
Update : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

মানিক মুনতাসির, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক : শিবির এত টাকায় কোথায় পায়। আসুন জেনে নিই।

# শিবিরের একজন কর্মী, এমন কি সমর্থরাও নিয়মিত মাসিক এয়ানত দেয়। এবং এটা দেয় দলকে ভালোবেসে। না দিলে দলে থাকতে পারে না।

দল থেকে কখনও নেয় না। বরং আজীবন দলকে দিয়ে যায়। আবার দলের পিছিয়ে পড়া কিংবা দরিদ্র কর্মীদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে সব রকম সহযোগিতা দেয় শিবির। যা অন্য কোন ছাত্র সংগঠনে আপনি পাবেন না।

# শিবির করা ছেলেরা শুধু মাসে না বাৎসরিক, ষান্মাসিক বা ত্রৈমাসিক হিসাবেও দলকে ডোনেশন দেয়। যা না দিলে জবাবদিহি করতে হয়। এমনও ঘটে খাবার খরচ কমিয়ে বা রিকশা ভাড়া থেকে বাঁচিয়েও তারা দলকে কনট্রিবিউট করে।

# শিবির তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে ডোনেশন নেয়। এবং সেটা নেয় আনন্দের সহিত। কোন চাপাচাপি বা হয়রানি করে নয়৷ যিনি দেন তিনিও অত্যন্ত সানন্দে দান করেন।

# নিয়মিত এয়ানত দিতে না পারলে পদ খারিজও হয়ে যেতে পারে। এমন অপশনও আছে শিবিরের গঠনতন্ত্রে। ফলে দলের আর্থিক অবস্থা কর্মীরাই টিকিয়ে রাখেন।

# শিবির কখনও কোথাও চাঁদাবাজি করে না। জোর করে না। দলের টাকা কোন নেতা বা কর্মী মেরে খায় না। বরং আমানত হিসেবে তা দলের দায়িত্বশীল পর্যায়ে বুঝিয়ে দেয়।

# শিবিরের কর্মীরা সেক্রিফাইস করতে এতটাই প্রস্তুত থাকে যে, এক ঘন্টার নোটিশেও কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে থানা কিংবা গ্রাম পর্যায়ে কোটি টাকা সংগ্রহে সক্ষম কোন প্রকার শব্দ এবং প্রচারনা ছাড়াই। শুধু একটা নোটিশ সার্ভ করলেই চলে। এমন কি একটি খুদে বার্তা পাঠাালেও তারা তাতে পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে চোখ বন্ধ করে দলকে ডোনেট করে্। কারণ তারা জানে তাদের নেতারা কখনই তাদের সাথে প্রতারণা করবে না। আত্মস্বাত তো দূরের কথা একটি টাকা তারা দায়িত্বশীলের অনুমতি ছাড়া খরচও করে না।

# শিবিরের কর্মীরা টিউশুনি করিয়ে জীবন চালালেও দলকে ডোনেট করতে কার্পন্য করে না। এরা কখনও দলের টাকা মেরে খায় না। বরং দলকে দুই হাত ভরে দিয়ে যায়।

# শিবিরের কর্মীরা নিজের পকেট থেকে পয়সা খরচ করে কর্মসূচিতে অংশ নেয়৷ ফলে যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে একটি নির্দেশনাই যথেষ্ট। এমন কি জীবন পর্যম্ত দিয়ে দেয়।

# শিবিরের ছেলেরা অযথা মেয়ের পেছনে টাঙ্কি মেরে পয়সা কিংবা সময় নষ্ট করে না। এরা আখিরাতকে ভয় পায় মন থেকে। ফলে ফাও খরচ না করে দলকে ডোনেট করে।
#শিবিরের আয় – ব্যয়ের কঠিন চুলচেরা বিশ্লেষন ও ইন্টারনাল অডিট হয়। যেখানে একজন সাধারন কর্মীাও তাদের কেন্দ্রীয় বায়তুৃল মাল সম্পাদক এমনকি সভাপতিকেও পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে। জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার কারণে কোন নেতাকর্মী একটা কানাকড়িও নয় ছয় করার সুযোগ পায় না। শুধু তাই নয় অবারিত সুযোগ পেলেও তারা সেটা করে না।

# ফলে # শিবির এত টাকা কোথায় পায় এর জবাব পেতে হলে নিজেদের চাঁদাবাজি বন্ধ করুন।
সর্তকতা:::

# আমাকে কেউ কোন ট্যাগ দিতে এলে নিজ দায়িত্বে দেবেন৷ জেনে রাখবেন আমি কোন দল মারাই না। নিজে কাজ করি। খাই দাই।

# ফলে এই লেখা পড়ার পর আপনি আমাকে যা ইচ্ছে ভাবতে পারেন৷ আমি যতটুকু জানি জাস্ট ততটুকুই লিখেছি।
ধন্যবাদ। ঘুমিয়ে পড়ুন।

শিবিরের আয়ের উৎস না খুঁজে নিজেদের চাঁদাবাজি বন্ধ করুন।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com