টাঙ্গন ডেস্ক:রোববার ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক হামলায় গাজায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ত্রাণ সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিলেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় বিভিন্ন স্থানে প্রাণ হারানো ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকালে মধ্য গাজার এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে শত শত মানুষের জমায়েত লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন বলে জানান তিনি।
বাসাল আরও বলেন, গাজার উত্তর-পশ্চিমে একটি ত্রাণবাহী ট্রাকের কাছ থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা সেখানকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলের সদস্যদের দ্বারা পরিবাহিত হয়েছে।
দক্ষিণ গাজাতেও একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালায়। এতে দুইজন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হন।
এএফপি যখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তখন তারা জানান—নেতজারিম বা রাফাহ এলাকায় গুলির কোনো ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত নয়। তবে উত্তর গাজার ঘটনার বিষয়ে তারা তদন্ত করছে।
তবে, গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং স্থলপথে সীমিত চলাচলের কারণে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্যগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৬ মে থেকে ইসরাইলি বাধার মুখে মার্কিন ও ইসরাইল-সমর্থিত “হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)” গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এই সংস্থার ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে বহু ফিলিস্তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।
মাহমুদ বাসাল বলেন, “গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে হাজার হাজার শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।”
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/