• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

ভুললে চলবে না আমাদের মেট্রো রেল-ট্যানেল-এলিভেটেড এক্সপ্রেস সবই আছে 

Reporter Name / ২৪৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩

এ্যাড. আবু মহী উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

দেশে সব সময়ই দুই ধারার রাজনীতি ছিল, আজো আছে , তবে আরো কতদিন থাকবে তাও বলা যাবেনা। সামনে নির্বাচন। নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি বলেছে , যে সব দল আন্দোলনে থাকবে, নির্বাচনের পর তাদের সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। এক কথায় বিএনপি ওভার কনফিডেন্ট আগামী নির্বাচনে তারা জিতবে এবং সরকার গঠন করবে।

দেশে ওয়ান ম্যান , ওয়ান পার্টি , সিঙ্গেল সাইনবোর্ড , পকেট কমিটি , ওয়ান লিডার প্রচুর আছে। তাদেরকে কেউ চিনেনা। তাদের কোন রাজনৈতিক কর্মসুচী নাই। ৫ জন মিলে একটা দলের ঘোষনা দিয়েছিল। গঠনতন্ত্র তৈরী হতে না হতেই দলে ভাঙ্গন এবং ফলশ্রুতিতে ব্র্যাকেট বন্দি হয়ে নুতন দলের আত্মপ্রকাশ। দেশে এই জাতীয় দলের সংখ্যা প্রচুর। এরা কোনদিন নির্বাচন করার সাহস রাখেনা , আবার নির্বাচনে দাঁড়ালে জামানত টিকবেনা। এই দলগুলো বিএনপির এই ঘোষনায় উজ্জীবিত হয়েছে। আন্দোলনে থাকলেই যদি সরকারে যোগ দেওয়া যায় তাহলে এর চেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় আর কি হতে পারে ?

বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাথে গাঁটছড়া বেধেছে , সেই সব দল এরাও প্রায় ওয়ান ম্যান ওয়ান পার্টি , কোন কোন দলের ২/১ জন প্রার্থী নির্বাচনে জিতবে আওয়ামী লীগের বদান্যতায়। আসন ছেড়ে দিলে তবে। আলাদা করে ভোট করার তেমন মুরাদ নেই। এদের নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর পরে কিছু দল আছে তারা ৩য় ধারা চালু করতে চায়। কিন্তু তারাও শতধা বিভক্ত। ওরা এক হতেও পারবেনা রাধাও নাচবেনা।

বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে বলতে গেলে নির্বাচন করেনি। কয়েকজন জিতেছিল, শপথ নেওয়া নিয়ে সার্কাস করেছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলো , ৪ বছর এমপি গিরি করলো , সর মাঠা খেলো, বেতন ভাতা বরাদ্দ সব নিলো , কিন্তু মহাসচিবকে শপথ নিতে দেওয়া হলো না।
কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে পারলোনা , দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা শপথ নিলো , তারা কেনো তা করলো , তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক , আবার তারা থাকলো , মহাসচিবকে কেন শপথ নিতে দেওয়া হলোনা? এসব কথা বলার সাহস যেমন কেউ রাখেনা , শোনার জন্য তো কেউ নাই। এবারে ভোটে দাঁড়ালে ভোটাররা যদি জিজ্ঞাসা করে , আগে দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আসেন ভোটে জিতলে শপথ নিতে দিবে কিনা?. তাহলে কি হবে ? বিএনপি এখন নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়।

তারা মনে করে তত্বাবধায়ক হলে দেশের মানুষ মানুষ হুমড়ি খেয়ে তাদের ভোট দিবে। আওয়ামী লীগকে একেবারে নির্বাসন দিবে। আওয়ামী লীগের অস্তিস্ত বিলিন হয়ে যাবে। সে কারণে তত্বাবধায়ক দাবী , কারণ অতীতের তত্বাবধানের ভোটে কখনো ক্ষমতাসীন দল জিতেনি। সেটাই তাদের ভরসা।

তারা দাবী করেছে দেশের সব মানুষ তত্বাবধায়ক দাবী করছে। সব মানুষ বা অধিকাংশ তারতো একটা পদ্ধতি দরকার। একটা প্রক্রিয়া লাগবে, সেটা অবশ্যই ভোট । আর এই ব্যবস্থাটা দেশবাসীর আকাংখায় পরিনত হয়েছে কিনা , তার জন্য তো গণভোট প্রয়োজন। কিছু মানুষ দাবী করলো আর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। তাহলে তো সব সরকারের আমলেই এই পদত্যাগের দাবী উঠবে আর প্রধানমন্ত্রীরা পদত্যাগ করবে , মাসে মাসে ভোট হবে, দেশে সব কাজ বাদ দিয়ে শুধু ভোট করতে হবে। বিএনপিও তো এক সময় সরকারে ছিল। তখনতো বর্তমান সরকারি দল দাবী করেছিল ওরা কি শুনেছিল? বরং বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলি যদি নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে ঘষামাজা করতো তাহলে বেশী ভালো হতো।

আমাদের নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশীরা দেশে আসছে। তারা জানতে চাচ্ছে বিভিন্ন বিষয়। বাংলাদেশে নির্বাচন , গণতন্ত্র , মানবাধিকার নিয়ে তাদের দারুন মাথাব্যথা। তারা বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা বিবৃতি চাচ্ছে , আমাদের জন্য একটা খুবই আশ্চর্যজনক এটা বুঝতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ লজ্জাবোধ করছে কিন্তু যারা দেশ পরিচালনা করবে তাদের কেন লজ্জাবোধ নাই ? তবে তারা যতই আসুক, দৌড় ঝাঁপ করুক, তারাতো এই কথা বলতে পারবেনা, তত্বাবধায়ক ছাড়া ভোট হবেই না ।

তবে তারা ভিন্ন কৌশল নিতে পারে। তারা ভিসা নীতি ঘোষনা করেছে। আরো আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। তারা বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করতে পারে। আমরা তো ১৯৭৪ সালেও বেঁচে ছিলাম। সে সময় দেশে মারাত্মক খাদ্যাভাব ছিল। সদস্য স্বাধীন দেশ, বন্যায় ফসল হানি ঘটেছিল। বাংলাদেশ সে সময় কিউবাতে চটের ব্যাগ বিক্রি করেছিল। সেটা বাংলাদেশের মারাত্মক অপরাধ (?) হয়েছিল। পিএল ৪৮০ চুক্তির অধীনে পাঠানো গমের জাহাজ আমেরিকা ফেরত নিয়েছিল। আমেরিকা কোন দেশের শুধুই উপকারে লেগেছে এ একম নজির তো নাই। তবে একটা জিনিষ আমরা বুঝতে পারি ভু-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুতপুর্ণ হয়েছে। তারা নিজেদের প্রয়োজনেই বাংলাদেশেকে খাতির করবে।

বাংলাদেশের ভোটে , ভোট দিবে তো বাংলাদেশের মানুষ। বিদেশীরা ভোট দিয়ে দিবেনা। দেশের মানুষকে ভোটের সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। নিজ দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে , গণজোয়ার তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক দলের হিসাব নিকাশ আমরা বুঝিনা। একেক সময় রাজনীতিকরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে দাবী জানায়। কখনো কখনো সে দাবী গণদাবীতে পরিনত হয়।

বর্তমান আন্দোলনে বিরোধী রাজনীতিকরা যে দাবী করেছেন , সে দাবী মানা কোন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে সম্ভব নয়। সে সব মানলে ভোট না করলেও চলবে। বিরোধী রাজনীতিকদের সরকার পরিচালনার দ্বায়িত্ব দিয়ে নির্বাসনে যেতে হবে। অবাধ ভোট আয়োজন অত্যন্ত জরুরী দাবী। এই দাবীতে কারো অমত থাকবে তা নয়। অন্য দাবীগুলোর আইনী পরিণতি কি হবে বা এর আইনী সমাধান কি সেটা সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ চিন্তা ভাবনা করুক।
তবে একটা বিষয় মনে করার কারণ আছে। তা হলো নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ এবং নুতন কমিশন গঠন।

নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে থেকে যদি নির্বাচন করতে হয় তাহলে এই রকমই একজন বাঙ্গালীই হবেন। জাতিসংঘ কাউকে নিয়োগ করলেও তিনি বা তারাও অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাবেন বলে মনে হয়না। একমাত্র উপায় ভিনগ্রহ থেকে কাউকে আনতে পারা, তবে তিনিও গ্রহনযোগ্য হবেন সে গ্যারান্টিও কেউ দিতে পারবেনা। কেননা একেক পদক্ষেপ একেক দলের পক্ষে যাবে। তখনই সমস্যাটা হবে।

শেষে বলি, আর যাই কিছু করেন দেশের মানুষকে অসম্মানিত করার চেষ্টা করবেননা। বাংলাদেশ কিন্তু এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। পৃথিবীর অনেক বিত্ত বৈভবের প্রভাবশালী দেশ আমাদের সমীহ করে। এই সমীহ তো এমনি এমনি করেনা। আমরা নিশ্চয় যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমরা এখন ইউরেনিয়াম কিনি। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ , দুনিয়ার কতটা দেশ তা পেরেছে?

দুনিয়ার কোন দেশে ভুমিহীনদের সরকারের তরফ থেকে ঘরবাড়ী করে দিয়েছে? পৃথিবীর কোন দেশে একই মডেলের প্রায় ৬০০ টা মসজিদ আছে? আমার কোন রাজনৈতিক দল নাই, কিন্তু মতাদর্শতো আছে। আমার মত আমি প্রকাশ করতেই পারি। আন্দোলন রত দলগুলোর অধিকাংশের সক্ষমতা , যোগ্যতা , দক্ষতা সম্পর্কে আমরা জানি, কেননা আমরাতো তাদের কারো কারো শাসনেও ছিলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/