টাঙ্গন ডেস্ক:গাজায় চলমান ‘গণহত্যা’ বন্ধে ডাচ সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে রোববার হেগ শহরের রাস্তায় লাল পোশাকে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভকারীরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দিকে মিছিল করে যান এবং প্রতীকী ‘লাল রেখা’ তৈরি করেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি পতাকা, পোস্টার ও ব্যানার। ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল—‘দৃষ্টি ফিরাবেন না, কিছু করুন’‘কুকর্মে ডাচ সহযোগিতা বন্ধ করুন’‘শিশুরা ঘুমানোর সময় নীরব থাকুন, তাদের মৃত্যুর সময় নয়’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৬৭ বছর বয়সী ডোডো ভ্যান ডের স্লুইস বলেন,“গণহত্যা থামাতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে। আমি আর এটা নিতে পারছি না।”
আয়োজকরা বলেন, গাজার মানুষের আর সময় নেই। গণহত্যা রোধে এখনই ডাচ সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে ১৮ মে হেগে আরও একটি বিশাল বিক্ষোভ হয়েছিল, যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। আয়োজকরা একে বিগত ২০ বছরের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে হামলার জেরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এএফপির হিসাব মতে সরাইলে নিহত হয়েছেন ১,২১৯ জন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিকহা মাস ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল, যাদের মধ্যে ৫৪ জন এখনও গাজায় আটক এবং ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী—ইসরাইলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৫,২০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ জাতিসংঘ এই তথ্যকে “বিশ্বাসযোগ্য” বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়া চলছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি মামলা করেছে।
অভিযোগ করা হয়েছে— গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে।
ইসরাইল এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
সোহেল/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/