• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৩য় দিনেও ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খুলনায় সাংবাদিকদের কাজে বাধাকারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে-সিটি মেয়র বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ! কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে গায়েবানা জানাজা রাজাকারের পক্ষে নেতৃত্বদানকারিদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন: পথচারীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় ব্লাস্টের উদ্বেগ হেলমেট লীগের হিংস্রতা রক্ষী বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে-মুসলিম লীগ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা

বদলির আদেশ পাত্তা দিচ্ছে না কর্মকর্তারা

Reporter Name / ৮২ Time View
Update : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দুর্নীতি দমন কমিশনের মহপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো রেজানুর রহমানের বদলীর আদেশ গত ১ এপ্রিল জনস্বার্থে জারি করা হলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন না। এর মধ্যে প্রশাসনে ১১৭জন যুগ্মসচিব থেকে পদন্নেতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। তাদের অনেকেই (ইনসিটু) প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত দুর্নীতি দমন কমিশনের মহপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো রেজানুর রহমানের বদলীর আদেশ জারি করা হয়।

সএদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি এবং স্ট্যান্ড রিলিজের পরও নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করা একটা সংস্কৃতিতে পরিনত হয়ে উঠছে। বড় বড় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জুনিয়র কর্মকর্তারাও এ গুলো করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের বদলী করা হলে নতুন কর্মস্থালে যোগদান করতে চান না বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খানের বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই বদলি এবং স্ট্যান্ড রিলিজের পরও নতুন কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটছে। আর সমন্বয় এবং কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল না থাকায় এমনটা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলী করার পরও যোগদান না করলে আমরা স্ট্যান্ড রিলিজ করছি। যারা স্ট্যান্ড রিলিজের পরও নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি অনিয়মিত হয়ে যাবে এ বার বার বলা হচ্ছে।

জনস্বার্থে বদলি করা হলেও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই তা অমান্য করছেন। কিছুতেই তাঁরা বদলি আদেশ মানছেন না। এ কারণে গত এক বছরে প্রায় ৩৫ জন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তার পরও তাঁরা আইনবহির্ভূতভাবে আগের কর্মস্থলেই রয়েছেন। এ ছাড়া গত দুই-তিন মাসে আরও শতাধিক কর্মকর্তা বদলি আদেশের পরও কর্মস্থলে যোগ দেননি। আবার অনেক কর্মকর্তারা তদবির করে বদলি আদেশই বাতিল করিয়েছেন। প্রশাসনে শূন্য পদে বদলি করা হলেও বেশিরভাগ কর্মকর্তাই পছন্দের কর্মস্থলে থাকতে আগ্রহ দেখান।

ফলে বদলি করা পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় সরকারি সেবা ও কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অথচ সার্ভিস রুলের ৮১ ধারা অনুযায়ী, বদলি আদেশের পর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রস্তুতির জন্য একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ছয় দিন সময় পান। একই শহরে বদলি হলে প্রস্তুতির সময় পান না।

বদলির আদেশ না মানায় গত জানুয়ারী মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৫-৭জন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও ১২ উপসচিবকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এর মধ্যে দু›জন করে অতিরিক্ত সচিব ও উপসচিব বদলির তিন মাস পর নতুন কর্মস্থলে যোগ দেন। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা অতিরিক্ত সচিব জোবায়দা বেগমকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলী করা হলেও তিনি যোগদান করেনি। এম অনেক কর্মকর্তার বদলী করা হলেও উল্টো তদবির করে তিনি বদলীর আদেশ বাতিল করিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মৎস অধিদপ্তর থেকে জামালপুরের উপজেলা মৎস কর্মকতাকে বদলী করা হলেও যোগদান করেনি।

গণপূর্ত বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবকে গত ২০শে মার্চ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামিম আখতারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নোয়াখালী থেকে সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবকে ফেনী গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়। একই আদেশে ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাছানকে নোয়াখালীতে সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন জারির পর বদলি ঠেকাতে বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। গত কয়েক মাসে ঢালাও বদলির ঘটনায় গণপূর্ত অধিদফতরে প্রকৌশলীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে শতাধিক প্রকৌশলীকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত মে মাসেই বদলি হয়েছেন অনেক। এর মধ্যে উপসহকারী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরাকে মিথ্যা অভিযোগে অতিরিক্ত প্রধানপ্রকৌশলী বলদী করেছেন।

গণপূর্ত বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যাপার তো আমি জানি না। কোনো মন্ত্রী মহোদয়ের ডিও লেটার তাও জানি না। পরবর্তীতে গত ৪ঠা এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র অফিসিয়াল প্যাডে স্বাক্ষরযুক্ত একটি ভুয়া ডিও লেটার তৈরি করে তা গত ৮ই এপ্রিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে বদলি ঠেকানোর চেষ্টা করে সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। কিন্তু পরবর্তীতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া ওই ডিও লেটারটি গত ১৫ই এপ্রিল ভুয়া বলে প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে তার ওই বদলির প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে দেয়া হয় এবং গত বৃহস্পতিবার তাকে লালমনিরহাট বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ বিষয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া বলেন, আসলে বদলি করা কর্মস্থলে যোগ না দিলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলারও সুযোগ রয়েছে। আর স্ট্যান্ড রিলিজের অর্থই হলো অব্যাহতি দেওয়া।

আরএম/ টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/